হালুয়াঘাট (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধিঃ
ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে তুচ্ছ ঘটনায় স্বামী-স্ত্রী (আব্দুর রশিদ ও জাহানারা) কে গ্রেফতারের প্রতিবাদে ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুল ইসলাম হারুনের প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ বুধবার দুপুরে উপজেলার ধারা ইউনিয়নে মুরগী মহল বাইপাস মোড়ে এলাকাবাসীর’ ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে শতাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
এ সময় বক্তারা বলেন, সোমবার সন্ধ্যায় কলনী এলাকার শরীফা খাতুন নামে এক মহিলার আদালতে করা মামলার তদন্তে আসেন থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শহিদুল ইসলাম। এ সময় ঐ মামলার বিবাদী আব্দুর রশিদ কে এস আই শহিদুলের সামনেই মারতে থাকেন শরীফা। এ সময় পুলিশ চুপচাপ দাড়িয়ে ছিল। কিন্তু যখন আত্মরক্ষার্থে আব্দুর রশিদ ফেরাতে যান তখন সামনে এসে পড়েন সেই এসআই। এ সময় অসাবধানতা বশত এস আই শহিদুলের চোখের কোণে আচর লাগে।
ফাতেমা খাতুন বলেন, এসআই শুভ্র এসে আব্দুর রশিদকে মারতে মারতে গাড়িতে তুলেন এবং ছেড়ে দেওয়ার জন্য ১ লাখ টাকা দাবী করেন। পরে আমরা বলেছি উনি সরকারি জায়গায় থাকে এতো টাকা দেওয়ার সামর্থ নেই। পরে আব্দুর রশিদকে ধরে থানায় নিয়ে যায়। পরদিন তার স্ত্রী খাবার নিয়ে গেলে তাকেও আটক করে। আমরা এ ঘটনায় ওসি ও এসআই সহ যারা এ ঘটনার সাথে জড়িত তাদের শাস্তি দাবি করছি।
রইছ উদ্দিন বলেন, ওইদিন রাতে আমরা ওসি সাহেবের কাছে গিয়েছি। আমরা বলেছি পুলিশকে কেউ মারেনি। কিন্তু ওসি আমাদের কোন কথা না শুনে উল্টো আমাদের সাথে খারাপ আচরণ করেন। শুধু তাই নয় তিনি ৮০ হাজার টাকা ছেড়ে দেওয়ার জন্য দাবী করেন। আমরা বলেছি উনি গরীব মানুষ। কিন্তু ওসি আমাদের কোন কথা না শুনে মিথ্যা মামলা নিয়েছেন। আমরা যদি আইনের কাছে গিয়ে সহযোগীতা না পাই তাহলে আমরা কোথায় বিচার পাবো। আমরা অবিলম্বে এই ওসির প্রত্যাহার দাবী করছি।
পারুল বলেন, আব্দুর রশিদের স্ত্রী জাহানারা রাতে থানায় তার স্বামীকে ছাড়াতে যান। কিন্তু ১ লাখ টাকা না হলে পুলিশ ছাড়বে না বলে তাকে জানায়। পরদিন আমি আমার বোন জাহানারাকে নিয়ে সকালে আব্দুর রশিদের জন্য খাবার নিয়ে থানায় যাই। এ সময় পুলিশ সদস্যরা ওসির নির্দেশে আমার বোন জাহানারাকে আটক করে। আমার প্রশ্ন আমার বোন তো রাতেও থানায় গিয়েছিল। কিন্তু তখন তো পুলিশ তাকে আসামী করেনি। পরদিন কেন অন্যায়ভাবে আমার বোন কে ধরা হলো। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
হামেদ আলী বলেন, মাদক ব্যবসায়ী শরীফা খাতুনের কথায় পুলিশ এসেছে। পুলিশের সামনেই শরীফা আব্দুর রশিদের গায়ে হাত দিয়েছে। আব্দুর রশিদ আত্মরক্ষার্থে সেটা ফেরাতে গেলে পুলিশ শহিদুল সামনে এসে পড়ে এবং কনো ঘষা লাগে তার মুখের এখানে। তারপরেও যেহেতু অসাবধানতা বসত হাত লেগেছে , সেহেতু আব্দুর রশিদ পায়ে ধরে ক্ষমা চাওয়ার পড়েও তাকে নির্যাতন করে থানায় নিয়ে যায়, অর্থ দাবী করে। আমরা কোথায় গেলে ন্যায় বিচার পাবো। অথচ এই শরীফা ও তার ছেলে আমিনুল এই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসায় জড়িত। থানায় তাদের নামে অভিযোগ রয়েছে। তাদের বিচার না করে পুলিশ সাধারণ মানুষকে মামলা দিয়ে হয়রানী করছে।
সাইদুর রহমান রাজু
হালুয়াঘাট, ময়মনসিংহ
আরও পড়ুন
বিকেএসপি’র ৩৫ তম ব্যাচের অভিনব বিদায়
গঙ্গাচড়ায় দু-ব্যাবসায়ীক দোকানে ২২ হাজার টাকা জরিমানা
কমলগঞ্জে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ