হালুয়াঘাট (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধিঃ
ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার পূর্বধারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেহেনা পারভীন গত সোমবার (১৮ই নভেম্বর) বিকালে হালুয়াঘাট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে দাবি করেন, মহিলা মার্কেটের ভেতরে জমি-সংক্রান্ত পারিবারিক বিষয়ে তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উপজেলা যুবদলের আহবায়ক সাজ্জাদ হোসেন হীরা তার সাথে অশালীন আচরণ ও মারধর করেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে পৌর শহরের আম্বিয়া প্যালেসে পাল্টা সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন যুবদলের আহবায়ক সাজ্জাদ হোসেন হীরা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সাজ্জাদ হোসেন খান হীরা বলেন, উপজেলার পূর্বধারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রেহেনা পারভীন আমার নামে চরম মিথ্যা বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন। উনার হীন স্বার্থসিদ্ধির জন্য উদ্দেশ্যে প্রণোদিতভাবে আমার সামাজিক অবস্থান ক্ষুন্ন করার জন্য সম্পূর্ণ মিথ্যা বক্তব্য প্রদান করেন রেহেনা পারভীন। সে দিনের ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, গত ১৭ ই নভেম্বর সোমবার সন্ধ্যার আগে আমি মহিলা মার্কেটের সামনে অবস্থানকালে রেহেনা পারভীন আমার উপরে অতর্কিত হামলা করে এবং উচ্চস্বরে আমাকে গালিগালাজ করতে থাকে। শুধু তাই নয় আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করবে বলে হুমকি প্রধান করেন। হুমকির পাশাপাশি বারবার বসার টুল উচিয়ে আঘাত করার উদ্দেশ্যে আমার দিকে তেড়ে আসে। বিষয়টি মহিলা মার্কেটে অবস্থানকারী সকলেই দেখেছেন। আমার সাথে থাকা সিরাজ উদ্দিন দু’জনের মাঝখানে অবস্থান নেন এবং রেহেনাকে থামানোর চেষ্টা করেন। তার কারণেই ঐ মহিলার হাত থেকে আমি চরম ভাবে আহত হওয়া থেকে রক্ষা পাই।
সাজ্জাদ হোসেন খান হীরা রেহেনার কর্মকান্ড তুলে ধরে বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগের ১৬ বছরের আমলে রেহেনা উপজেলায় ফ্রী স্টাইলে জীবন যাপন করেছেন। ছাত্র জীবন থেকেই তিনি অত্যন্ত উশৃঙ্খলভাবে চলাফেরা করতেন। নিজ ধর্মের বাহিরে একজনকে বিয়ে করেন। তার চলাফেরা ও কর্মকান্ডের কারণে তার পরিবার তাকে পরিচয় দিতে লজ্জাবোধ করত। তার পিতা বেঁচে থাকতে তাকে ত্যাজ্য করেন। পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন রেহেনা পারভীন গত আওয়ামীলীগ ফ্যাসিস্ট আমলে এক মন্ত্রীর সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন। শুধু তাই নয় স্থানীয় আওয়ামীলীগের একাধিক নেতৃবৃন্দের সাথে তার সখ্যতা ছিল। রেহেনা পারভীন ও তার স্বামী আশিক মাহমুদ খান আওয়ামীলীগের প্রভাব খাটিয়ে শিক্ষার নামে নানা রকম বানিজ্য ও চাকুরী দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে বিলাস বহুল জীবন যাপন করেছেন। পরবর্তীতে সে অর্থনৈতিক কেলেঙ্কারীর জন্য চাকুরী থেকে স্বেচ্ছায় অবসর নিয়ে বর্তমানে পলাতক আছেন। এই রেহেনা রাজনৈতিকভাবে আমাকে হেই প্রতিপন্ন করতে, উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে যে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। আমি তার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই। তিনি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে উপজেলা প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠ তদন্ত ও ন্যায় বিচারের দাবি করেন।

আরও পড়ুন
বন্যপ্রাণীর তাণ্ডব! ফসল বাঁচাতে মাঠেই রাত কাটাচ্ছেন কমলগঞ্জের কৃষকরা
জয়পুরহাট-১ আসনে বিএনপির প্রার্থী পরির্বতনের দাবিতে গণমিছিল
সারা দেশে ধানের শীষের গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে : আমানউল্লাহ আমান