অনলাইন ডেস্ক :
বাংলা সাহিত্যের বরেণ্য ব্যক্তিত্ব, খ্যাতিমান কথাশিল্পী ও চলচ্চিত্রকার হুমায়ূন আহমেদের নবম মৃত্যুবার্ষিকী আজ (সোমবার ১৯ জুলাই)।
দূরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ২০১২ সালের এই দিনে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন কিংবদন্তি এই কথাসাহিত্যিক। পরে তাকে নুহাশপল্লীতে সমাহিত করা হয়।
১৯৪৮ সালে ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন হুমায়ূন আহমেদ। ১৯৭২ সালে প্রথম উপন্যাস ‘নন্দিত নরকে’ প্রকাশের পরপরই খ্যাতি লাভ করেন তিনি।
গত বছরের মতো কোভিড-১৯ এর চলমান পরিস্থিতির কারণে বিভিন্ন সংগঠন সীমিতভাবে হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুবার্ষিকী পালন করছে।
বিভিন্ন মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিশিষ্ট এই লেখককে স্মরণ করছেন তার অগণিত ভক্ত।
বাংলাদেশে পাঠকপ্রিয় এই লেখক দুই শতাধিক ফিকসন ও নন-ফিকসন বই লিখেছেন। হিমু, মিছির আলীর মতো চরিত্র দিয়ে লাখো-কোটি পাঠক-ভক্ত তৈরি করেছেন এই কথার জাদুকর। ১৯৯০ ও ২০০০ দশকে তার বইগুলো একুশে বইমেলায় সর্বাধিক বিক্রি হয়।
তাকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী শ্রেষ্ঠ লেখকদের মধ্যে অন্যতম গণ্য করা হয়। বাংলা কথাসাহিত্যে তিনি সংলাপপ্রধান নতুন শৈলীর জনক।
বাংলা সাহিত্যে অসাধারণ অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ হুমায়ুন আহমেদকে একুশে পদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কার, মাইকেল মধুসূদন পদক দেয়া হয়।
নব্বই দশকের শুরুতে চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে আবির্ভাব ঘটে তার। নিজের উপন্যাসের ওপর ভিত্তি করে হুমায়ূনের পরিচালিত চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে আগুনের পরশমণি, শ্যামল ছায়া, শ্রাবণ মেঘের দিন, দুই দুয়ারী, চন্দ্রকথা, নয় নম্বর বিপদ সংকেত, ঘেটুপুত্র কমলা। আগুনের পরশমণি, দারুচিনি দ্বীপ ও ঘেটুপুত্র কমলা চলচ্চিত্রের জন্য বাংলাদেশ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন তিনি।
আরও পড়ুন
সাংবাদিকদের সাথে রংপুর পুলিশ সুপারের মতবিনিময়
সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের কারণ উদঘাটনে তদন্ত কমিটি
অগ্নিকান্ডে মিঠাপুকুরের নয়ন একমাত্র উপার্জনকারীর মৃত্যুতে দিশেহারা পরিবার