অনলাইন ডেস্ক :
ম্যাচের শুরুতেই এগিয়ে গেল ইন্টার মিলান। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই সমতা আনার পর দ্রুতই এগিয়ে গেল ইউভেন্তুস। শেষ দিকে পেনাল্টি গোলে সমতা ফিরিয়ে ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে নিয়ে গেল ইন্টার। সেখানে জোড়া গোলে ব্যবধান গড়ে দিলেন ইভান পেরিসিচ। ১১ বছর পর ইটালিয়ান কাপের শিরোপা জিতেছে ইন্টার। বুধবার রাতে রোমাঞ্চকর ফাইনালে ৪-২ গোলে জিতেছে ইটালিয়ান চ্যাম্পয়নরা। নিকোলো বারেল্লার গোলে ইন্টার এগিয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে সমতা আনেন আলেক্স সান্দ্রো। দুই মিনিটের মাথায় ইউভেন্তুসকে এগিয়ে নেন দুসান ভøাহোভিচ। হাকান কানহানোগ্লু সফল স্পট কিকে সমতা আনার পর আরেকটি পেনাল্টি থেকে ইন্টারকে এগিয়ে নেন ইভান পেরিসিচ। দুই মিনিটের মাথায় চমৎকার এক গোলে ব্যবধান আরও বাড়ান তিনি। এর পরপরই মেজাজ হারিয়ে লাল কার্ড দেখেন ইউভেন্তুস কোচ মাস্সিমিলিয়ানো আল্লেগ্রি। ইতালিয়ান কাপে এটি ইন্টারের অষ্টম শিরোপা। তাদের চেয়ে বেশি এই শিরোপা জিতেছে কেবল রোমা (৯) ও ইউভেন্তুস (১৪)। এতো শিরোপা জিতলেও ইটালিয়ান কাপের ফাইনালে ইন্টার ও ইউভেন্তুসের দেখা প্রায় হয় না বললেই চলে। সেই ১৯৬৫ সালে সবশেষ শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল দল দুটি। তার আগে খেলেছিল একবারই, ১৯৫৯ সালে। সেই দুইবারই জিতেছিল ইউভেন্তুস। এবার এর পুনরাবৃত্তি হতে দেয়নি ইন্টার। রোমের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে ষষ্ঠ মিনিটেই এগিয়ে যায় দলটি। বাঁ দিক থেকে কাট করে ভেতরে ঢুকে বুলেট গতির শটে জাল খুঁজে নেন বারেল্লা। পিছিয়ে পড়ার পর যেন জেগে ওঠে ইউভেন্তুস। আক্রমণাত্মক ফুটবলে প্রবলভাবে চেপে ধরে ইন্টারকে। ২৩তম মিনিটে সমতা প্রায় ফিরিয়েই ফেলেছিল দলটি। পাওলো দিবালার শট ঠেকিয়ে ইটালিয়ান চ্যাম্পিয়নদের ত্রাতা গোলরক্ষক সামির হান্দানোভিচ। পরের মিনিটে দিবালার পাস থেকে ভøাহোভিচের শট কর্নারের বিনিময়ে ব্যর্থ করে দেন তিনি। ৩০তম মিনিটে কর্নার থেকে মাটাইস ডি লিখটের হেড ঠেকিয়ে ব্যবধান ধরে রাখেন হান্দানোভিচ। ৫০তম মিনিটে সান্দ্রোর গোলে ম্যাচে সমতা ফেরায় ইউভেন্তুস। ৫২তম মিনিটে ইন্টার গোলরক্ষকের নিদারুণ ব্যর্থতায় দলকে এগিয়ে নেন ভøাহোভিচ। ৮০তম মিনিটে সফল স্পট কিকে সমতা আনেন কানহানোগ্লু। লাউতারো মার্তিনেসকে ইউভেন্তুসের দুই ডিফেন্ডার লিওনার্দো বোনুচ্চি ও ডি লিখট ফাউল করায় পেনাল্টি পেয়েছিল ইন্টার। ৯৯তম মিনিটে আরেটি সফল স্পট কিকে দলকে এগিয়ে নেন পেরিসিচ। স্টেফান ডি ভ্রেইকে ডাচ ডিফেন্ডার ডি লিখট ফাউল করায় ভিএআরের সাহায্য নিয়ে পেনাল্টি দেন রেফারি। তিন মিনিট পর ব্যবধান আরও বাড়ান পেরিসিচ। ডান পায়ে বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বাম পায়ের বুলেট গতির শটে খুঁজে নেন ঠিকানা। এর পরপরই লাল কার্ড দেখেন আল্লেগ্রি। দুই গোলে পিছিয়ে পড়ার সঙ্গে কোচের লাল কার্ডে এলোমেলো হয়ে যাওয়া ইউভেন্তুস এরপর আর খুব একটা লড়াই করতে পারেনি।
আরও পড়ুন
কার দিকে, কেন তেড়ে গিয়েছিলেন তামিম
শেষ ওভারে ৩ ছক্কা ৩ চার, ৩০ রান নিয়ে রংপুরকে জেতালেন নুরুল
মোহামেডানকে হারালো আবাহনী দুই বছর পর