October 9, 2025

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Thursday, October 9th, 2025, 4:11 pm

১২ অক্টোবর থেকে ৫ কোটি শিশুকে বিনামূল্যে টাইফয়েড টিকা দেওয়া হবে

 

সারা দেশে শুরু হতে যাচ্ছে জাতীয় টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি। এই ক্যাম্পেইনের আওতায় পাঁচ কোটি শিশুকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে টাইফয়েডের টিকা দেওয়া হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কেউ টিকা দেওয়ার জন্য অর্থ দাবি করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আগামী ১২ অক্টোবর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে এ জাতীয় ক্যাম্পেইন। জন্মনিবন্ধনের মাধ্যমে শিশুদের টিকা নেওয়ার নিবন্ধন কার্যক্রম চলছে। তবে যারা অনলাইনে নিবন্ধন করতে পারেনি, তাদের জন্য ম্যানুয়াল পদ্ধতিতেও টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সরকারি অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান জানিয়েছেন, “এই টিকার গুণগত মান শতভাগ যাচাই করেই জাতীয় কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, ২০১৯ সালে পাকিস্তান ও ২০২২ সালে নেপালে সফলভাবে এই টিকা প্রয়োগ করা হয়েছে, আর বর্তমানে ভারতের মুম্বাইয়েও এ টিকা দেওয়া হচ্ছে।

টিকাদান কার্যক্রম পরিচালিত হবে দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও স্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রগুলোতে। এছাড়া ভাসমান ও পথশিশুদের টিকার আওতায় আনতে এনজিও ব্যুরো দায়িত্ব নিয়েছে, যারা মাঠপর্যায়ে এদের টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করবে।

গ্যাভি প্রকল্পের আওতায় ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট উৎপাদিত এই টাইফয়েড টিকা বাংলাদেশে সরবরাহ করা হচ্ছে। ফলে এটি শিশুদের জন্য বিনামূল্যে প্রদান সম্ভব হচ্ছে। ইতোমধ্যে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত এক কোটি ৬৮ লাখ শিশু অনলাইনে নিবন্ধন করেছে, আর অফলাইনে হয়েছে প্রায় ১৫ শতাংশ নিবন্ধন।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, টাইফয়েড শিশুদের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ সংক্রমণ। দূষিত পানি ও খাদ্য গ্রহণ, এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসবাসই এর প্রধান কারণ। সালমোনেলা টাইফি নামের ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে এই রোগ ছড়ায়।

অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান বলেন, “১৯৮৯ সাল থেকে বাংলাদেশ সরকার টিকাদান কর্মসূচির মাধ্যমে সংক্রামক রোগ প্রতিরোধে কাজ করছে।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, বর্তমানে টাইফয়েড অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী হয়ে উঠছে, যা বাংলাদেশসহ ভারত ও পাকিস্তানে জনস্বাস্থ্যের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

গ্লোবাল বার্ডেন অব ডিজিজ স্টাডির তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে বিশ্বজুড়ে ৭০ লাখের বেশি মানুষ টাইফয়েডে আক্রান্ত হয়েছে এবং প্রায় ৯৩ হাজারের মৃত্যু ঘটেছে। একই বছরে বাংলাদেশে ৮ হাজার মানুষ টাইফয়েডে মারা গেছে, যার মধ্যে ৬৮ শতাংশই ছিল ১৫ বছরের কম বয়সী শিশু।

এনএনবাংলা/