১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের বিচারে বাধা দেয়ার জন্য বিএনপির সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এটা জাতির জন্য পরিহাসের বিষয় যে খুনিদের পৃষ্ঠপোষকরা এখন গণতন্ত্র ও মানবাধিকার নিয়ে বক্তব্য দিচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আজ তাদের কাছ থেকে গণতন্ত্র, ভোট ও মানবাধিকারের কথা শুনতে হচ্ছে। দুর্ভাগ্যবশত, একই মানুষগুলো খুনি, খুনিদের পৃষ্ঠপোষক এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ রাসেল দিবস (২০২২) ও শেখ রাসেল পদক (২০২২) এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে যোগদানকালে ভাষণ দেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মদিন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) মঙ্গলবার এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। রাসেল ১৫ আগস্ট ট্র্যাজেডিতে মাত্র ১০ বছর বয়সে শহীদ হন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে সরকার গঠন না করা পর্যন্ত তাকে ও তার বোন শেখ রেহানাকে তাদের পরিবারের সদস্যদের হত্যার বিচার চাইতে দেয়া হয়নি।
তিনি বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, ‘আজ কেন আমরা মানবতা, মানবাধিকার বিষয়ের মতো এত শব্দ শুনি? আমার এই প্রশ্নের উত্তর কি কেউ দিতে পারবেন যে অনেক বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে আমি যখন সরকার গঠন করে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হতে পেরেছি শুধু তখনই খুনিদের বিচার হবে?’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭৫ সালের পর যারাই ক্ষমতায় এসেছেন- জিয়াউর রহমান, জেনারেল এরশাদ ও খালেদা জিয়া, তারাই নৃশংস খুনিদের পৃষ্ঠপোষকতা ও পুরস্কৃত করেছেন।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আধুনিক ও প্রযুক্তিভিত্তিক জ্ঞানে সজ্জিত করার সরকারি পদক্ষেপের অংশ হিসেবে পাঁচ হাজার শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব ও ৩০০ শেখ রাসেল স্কুল অব ফিউচার (৩০০টি সংসদীয় আসনের প্রতিটিতে একটি করে স্কুল) উদ্বোধন করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাসেলের শৈশবকে তুলে ধরে ‘দুরন্ত প্রাণবন্ত শেখ রাসেল’ নামের একটি বইয়ের মোড়কও উন্মোচন করেন।
অনুষ্ঠানে নোবেল শান্তি বিজয়ী ও বিখ্যাত শিশু অধিকার কর্মী কৈলাশ সত্যার্থীর একটি ভিডিও বার্তা, একটি অ্যানিমেটেড সিনেমা ‘আমাদের ছোট রাসেল সোনা’ এর ট্রেলার, শেখ রাসেলের ওপর একটি ভিডিও তথ্যচিত্র এবং শেখ রাসেল দিবস (২০২২) উপলক্ষে একটি থিম সং পরিবেশিত হয়। আইসিটি বিভাগ অ্যানিমেটেড সিনেমা, তথ্যচিত্র ও থিম সং তৈরি করেছে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এনএম জিয়াউল আলম, বাংলাদেশ জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদের মহাসচিব কে এম শহীদুল্লাহ এবং শিশু বক্তা আফসা জাফর সৃজিতসহ আরও অনেকে।
শেখ রাসেল ১৯৬৪ সালের ১৮ অক্টোবর ধানমন্ডির ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবনে জন্মগ্রহণ করেন।
গত বছর সরকার জাতীয়ভাবে দিবসটি পালনের জন্য ‘ক’ ক্যাটাগরিতে ১৮ অক্টোবরকে শেখ রাসেল দিবস হিসেবে ঘোষণা করে।
—-ইউএনবি
আরও পড়ুন
আগামী বিজয় দিবস গণহত্যাকারীর শাস্তির রায়ে উদ্যাপন হবে: আসিফ নজরুল
রংপুরে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন মহানগর ও জেলা শাখার দ্বিবার্ষিক সম্মেলন
র্যাব রংপুরে ৩৫১.৩৮ গ্রাম হেরোইন সহ স্বামী-স্ত্রী আটক করেছে