বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুর ২টার পর কেরানীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বের হন তিনি। এ সময় কারাফটকে ভিড় জমানো অনুসারীরা ফুলের মালা দিয়ে তাকে স্বাগত জানান।
গত মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) চট্টগ্রামে বহুল আলোচিত ১০ ট্রাক অস্ত্র আটকের ঘটনায় করা মামলার সাজা থেকে খালাস পান বিএনপি নেতা লুৎফুজ্জামান বাবরসহ পাঁচজন। ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) ও আসামিদের করা আপিলের ওপর শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
এর আগে গত ১৮ ডিসেম্বর ১০ ট্রাক অস্ত্র আটকের ঘটনায় দায়ের হওয়া চোরাচালান মামলায় ফাঁসির সাজা থেকে খালাস পান বাবর।
বাবরের বিরুদ্ধে আর কোনো মামলা না থাকায় মুক্তিতে বাধা নেই বলে জানান আইনজীবীরা। তবে কারা অধিদফতরে আদেশের কপি না পৌঁছানোই মঙ্গলবার মুক্তি পাননি লুৎফুজ্জামান বাবর।
২০০৪ সালের ১ এপ্রিল সিইউএফএল ঘাট থেকে আটক করা হয় ১০ ট্রাকভর্তি অস্ত্রের চালান। ২০০৭ সালের ২৮ মে আটক হন লুৎফুজ্জামান বাবর। এরপর বিভিন্ন মামলায় তার দণ্ড হয়। এর মধ্যে দুটি মামলায় তার মৃত্যুদণ্ডাদেশ হয় এবং একটিতে দেয়া হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। বিচারিক আদালতের রায়ের পর ২০১৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি মামলার নথিপত্র হাইকোর্টের ডেথ রেফারেন্স শাখায় পাঠানো হয় এবং তা ডেথ রেফারেন্স মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়। একই সময়ে সাজার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা।
গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের সরকার পতন হওয়ার পর এসব মামলার আপিল শুনানি শেষে একে একে খালাস পান বাবর। এর মধ্যে গত ২৩ অক্টোবর দুর্নীতির মামলায় ৮ বছরের দণ্ড থেকে এবং ১ ডিসেম্বর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলা থেকে খালাস পান তিনি।
আরও পড়ুন
এবার টিউলিপ সিদ্দিককে ‘দুর্নীতিবাজ’ আখ্যা দিলেন ইলন মাস্ক
এইচএমপি ভাইরাসে আক্রান্ত সানজিদা মারা গেছেন
একাধিক আসনে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ বাদ, ভোট ৪০ শতাংশ না পড়লে নতুন নির্বাচন