প্রায় দেড় যুগ পর দেশে ফিরেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। দেশে প্রত্যাবর্তনের পরের দিন শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) জুমার নামাজের পর গুলশানের নিজ বাসভবন থেকে প্রথমে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে তাঁর বাবার, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করেন।
এর আগে ২০০৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর বিএনপি প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে বাবার মাজারে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেছিলেন তারেক রহমান। সে সময় তিনি দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ছিলেন।
কবর জিয়ারতের পর তিনি লাল-সবুজ রঙের বুলেটপ্রুফ বাসে করে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধের পথে রওনা দেন। ইতিমধ্যেই স্মৃতিসৌধে তার আগমনকে ঘিরে নেতাকর্মী ও সমর্থকরা ভিড় করতে শুরু করেছেন।
তারেক রহমানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জিয়া উদ্যান, সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ এবং ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া স্মৃতিসৌধ এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা সাদা পোশাকেও অবস্থান করছেন।
সাভার গণপূর্ত বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন খান আনু জানান, জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজও শেষ হয়েছে।
স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাদের তথ্য অনুযায়ী, সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে ৫০ হাজারের বেশি মানুষের উপস্থিতির প্রস্তুতি চলছে।
এর আগে ২৫ ডিসেম্বর দীর্ঘ ১৭ বছর পর লন্ডন থেকে দেশে প্রত্যাবর্তন করেন তারেক রহমান। এ সময় বিমানবন্দর থেকে রাজধানী পর্যন্ত বিশাল জনসমাগম লক্ষ্য করা যায়।
পরে বিকেলে রাজধানীর ৩৬ জুলাই এক্সপ্রেসওয়েতে আয়োজিত বিশাল গণসংবর্ধনা সভাতে তিনি দেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। সেখানে তিনি বলেন, তিনি একটি নিরাপদ ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে চান, যেখানে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে প্রতিটি নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত থাকবে।
এনএনবাংলা/

আরও পড়ুন
ভোটে কখনো হারেননি খালেদা জিয়া, সংসদীয় রাজনীতিতে অনন্য রেকর্ড
বেগম খালেদা জিয়া যেভাবে হয়ে ওঠেন ‘আপসহীন’
খালেদা জিয়ার স্মরণে গুলশান কার্যালয়ে শোকবই, রাষ্ট্রদূতদের স্বাক্ষর