খাগড়াছড়িতে ঋতু পরিবর্তনের প্রভাবে জ্বর, সর্দি ও কাশিসহ বিভিন্ন উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। শুধুমাত্র ২০ দিনের মধ্যে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে জেলা সদর হাসপাতালে মারা গেছে ১২ শিশু।
জেলা সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে বর্তমানে ৬২ জন শিশু ভর্তি রয়েছে, যদিও হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে মাত্র ১৫টি শয্যা রয়েছে। শয্যা সংকটের কারণে অনেক শিশুকে মেঝেতে রাখা হচ্ছে। বর্হিবিভাগেও প্রতিদিন কয়েকশ রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন।
খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. ওমর ফারুখ বলেন, ‘ঋতু পরিবর্তনের কারণে আবহাওয়ার তারতম্যের কারণে শিশুরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। বিশেষ করে ৬ থেকে ১৮ মাস বয়সী শিশুদের মধ্যে নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ার ঝুঁকি বেশি।’
এছাড়াও, জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. রিপল বাপ্পী চাকমা জানান, ‘খাগড়াছড়ি ১০০ শয্যার সদর হাসপাতালকে ২৫০ শয্যায় রূপান্তর করা হলেও বর্তমানে মাত্র ৫০ শয্যা জনবল দিয়ে কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। ৫৭ চিকিৎসক পদের মধ্যে বর্তমানে ১৮ জন কর্মরত রয়েছেন।’
সিভিল সার্জন ডা. মো. সাবের সকল অভিভাবককে আতঙ্কিত না হয়ে শিশুদের বাড়তি যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি নিউমোনিয়া প্রতিরোধে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন। বিশেষ করে পাহাড়ি এলাকায় রাতের তাপমাত্রা অনেক কম থাকায় শিশুরা আরও ঝুঁকিতে রয়েছে।
স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ সতর্ক করেছেন, ঋতু পরিবর্তনের সময় শিশুরা শ্বাসকষ্ট, জ্বর ও নিউমোনিয়ার মতো রোগে দ্রুত আক্রান্ত হতে পারে, তাই প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করা অত্যন্ত জরুরি।
এনএনবাংলা/
আরও পড়ুন
জেন জি বিক্ষোভে উত্তাল পেরু, রাজধানী লিমায় জরুরি অবস্থা জারি
মিরপুরের কালো পিচ দেখে ভেবেছিলাম টিভি নষ্ট: উইন্ডিজ স্পিনার আকিল
বেড়েই চলছে ডলারের দাম