July 26, 2025

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Thursday, July 24th, 2025, 3:42 pm

২৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ, স্ত্রীসহ সাইফুজ্জামানের বিরুদ্ধে মামলা

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এবং তার স্ত্রী ইউসিবির চেয়ারম্যান রুকমিলা জামান/ ছবি: সংগৃহীত

 

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এবং তার স্ত্রী ইউসিবির চেয়ারম্যান রুকমিলা জামানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক।

জানা গেছে, সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর মালিকানাধীন আরামিট গ্রুপভুক্ত প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীকে মালিক সাজিয়ে নামসর্বস্ব কাগুজে প্রতিষ্ঠান ভিশন ট্রেডিংয়ের নামে ভুয়া ঋণ অনুমোদন করিয়ে ২৫ কোটি টাকা আত্মসাতেের অভিযোগে সাইফুজ্জামান ও তার স্ত্রী এবং ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও এমডিসহ ৩১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির উপ-পরিচালক মো. মশিউর রহমান খান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। দুদকের ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রামের ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসির (ইউসিবি) পোর্ট শাখা থেকে ভিশন ট্রেডিং নামীয় একটি নামসর্বস্ব কাগুজে প্রতিষ্ঠানের নামে কোনো ধরনের যাচাই-বাছাই ছাড়াই ২৫ কোটি টাকার ভুয়া ঋণ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

ভিশন ট্রেডিংয়ের হিসাব খোলেন ব্যাংকটির ওই শাখার সিনিয়র অফিসার মো. আকরামউল্লাহ এবং শাখা প্রধান ও ভাইস প্রেসিডেন্ট (ভিপি) আবদুল হামিদ চৌধুরী। যারা কোনো প্রকার যাচাই না করেই অ্যাকাউন্ট চালু করেন।

পরে প্রতিষ্ঠানটির ২৫ কোটি টাকার ঋণের আবেদনের প্রেক্ষিতে শাখার ক্রেডিট কমিটি মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে ঋণের সুপারিশ করে। এই সুপারিশ ইউসিবির করপোরেট অফিসের করপোরেট ব্যাংকিং ডিভিশনে প্রেরণ করা হয়।

করপোরেট ব্যাংকিং ও ক্রেডিট রিস্ক ম্যানেজমেন্ট ডিভিশনের সমন্বয়ে গঠিত প্রধান কার্যালয়ের ক্রেডিট কমিটি প্রস্তাবটির সঙ্গে ১৭টি নেতিবাচক পর্যবেক্ষণ যুক্ত করে পরিচালনা পর্ষদের কাছে উপস্থাপন করে। এরপরও ইউসিবি পিএলসি-এর ৪৪৮তম পরিচালনা পর্ষদ সভায় ঋণ প্রস্তাবটি অনুমোদন দেওয়া হয়।

আরও জানা যায়, ভিশন ট্রেডিং নামে এই প্রতিষ্ঠানটির কোনো বাস্তব অস্তিত্ব নেই এবং এটি ছিল আরামিট গ্রুপভুক্ত সাইফুজ্জামান চৌধুরীর একজন কর্মচারীকে মালিক সাজিয়ে তৈরি করা একটি কাগুজে প্রতিষ্ঠান।

ভুয়া কাগজপত্র দাখিল করে ঋণ অনুমোদনের পর অর্থটি স্থানান্তর করা হয় আলফা ট্রেডিং, ক্লাসিক ট্রেডিং, মডেল ট্রেডিং ও ইম্পেরিয়াল ট্রেডিংয়ের মতো কয়েকটি ভুয়া প্রতিষ্ঠানের হিসাবে, যেগুলো সবই সাইফুজ্জামান চৌধুরীর কর্মচারীদের নামে খোলা।

এভাবে পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণা, জালিয়াতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে ২৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়। এই ঘটনায় দণ্ডবিধি, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের একাধিক ধারায় অপরাধ সংঘটনের অভিযোগ আনা হয়েছে মামলায়।

এনএনবাংলা/আরএম