নিজস্ব প্রতিবেদক:
দেশি-বিদেশি প্রকৌশলীদের তত্ত্বাবধানে ইতোমধ্যেই অবকাঠামোগত নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে যমুনা নদীর ওপর নির্মিত যমুনা রেলওয়ে সেতুর। অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি দেশের বৃহৎ এই রেলওয়ে সেতু দিয়ে এবার ২ মিনিট ৫৬ সেকেন্ডে পার হলো পর্যবেক্ষণ ট্রেন।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) দুপুর আড়াইটার দিকে চারটি বগি সম্বলিত একটি পর্যবেক্ষক ট্রেন যমুনার পূর্বপাড় ইব্রাহিমবাদ থেকে ছেড়ে যায়।
এর আগে, এই রেলওয়ে সেতুটি দিয়ে সফলভাবে পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চলাচল করেছে। সবশেষ রোববারও ১২০ কিমি গতিতে দুটি পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল করে।
সোমবার গভর্মেন্টে ইন্সপেক্টর অব বাংলাদেশের উপস্থিতিতে এ পর্যবেক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। পর্যবেক্ষণকালে ট্রেনটি ১২০ কিলোমিটার গতিবেগে ছুটেছিল। পরে পশ্চিম পাড়ের সয়দাবাদে ২০ মিনিট অবস্থানের পর থেকে পুনরায় ট্রেনটি সেতু-পূর্বপাড়ে চলে আসে।
সেতুটির চূড়ান্ত পর্যবেক্ষণে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে সংশ্লিষ্টরা। এ সময় বাংলাদেশে রেলওয়ের গভর্মেন্টের ইনস্পেক্টর ফরিদ আহমেদ, সেতুর প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মাসুদুর রহমান ও প্রজেক্ট ম্যানেজার মাক হ্যাভিসহ দেশি-বিদেশি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সেতু তথ্য সূত্রে জানা গেছে, জাপান-বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে যমুনা নদীর ওপর নির্মিত দেশের দীর্ঘতম রেলওয়ে সেতুর অবকাঠামোগত নির্মাণকাজ শেষে চূড়ান্ত পর্যবেক্ষণমূলক ট্রেন চলাচল সম্পূর্ণ হয়েছে। এ সময় ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সেতুটি পাড়ি দিতে প্রায় ৩ মিনিট সময় লাগে।
এদিকে রেল সেতুতে সিগন্যালে এখনও কিছু কাজ বাকি রয়েছে।
সেতুর প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মাসুদুর রহমান বলেন, দ্রুততম সময়ে বাণিজ্যিক ট্রেন চলাচল শুরু করবে। এতে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে ঢাকার রেল যোগাযোগের নতুন মাইলফলক উন্মোচিত হবে।
আরও পড়ুন
জামায়াতে আমিরের সঙ্গে একান্ত বৈঠক প্রধান উপদেষ্টার
১৫ জানুয়ারির মধ্যে ৫ সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন পাওয়া যাবে
শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ জামায়াতে ইসলামী