চার মাসের চিকিৎসা ও বিশ্রাম শেষে আগামী সোমবার (৫ মে) দেশে ফিরছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। লন্ডনের চিকিৎসা ও পারিবারিক আবহে কাটানো এই সময়ের পর তার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে বলেই জানিয়েছেন দলের শীর্ষস্থানীয় নেতারা।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘ম্যাডামের শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে ভালো। সবকিছু ঠিক থাকলে তিনি সোমবার ঢাকায় ফিরবেন।’
আরও থাকছেন—খালেদা জিয়ার চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, উপদেষ্টা ডা. আমিনুল হক চৌধুরী, এপিএস মাসুদুর রহমান এবং দুই গৃহপরিচারিকা ফাতেমা বেগম ও রূপা হক।
সূত্র জানায়, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি নিয়মিত ফ্লাইটে বিশেষ ব্যবস্থায় তাকে দেশে আনা হচ্ছে। যদিও পূর্ণাঙ্গ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স সুবিধা মিলছে না, তবে লন্ডনে খালেদা জিয়ার চিকিৎসক দল ও পরিবারের সদস্যরা সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছেন। পুরো বিষয়টি তদারকি করছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে নানান জটিল শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন। তার লিভার সিরোসিস, কিডনি জটিলতা, হৃদরোগ, আর্থ্রাইটিসসহ একাধিক রোগ রয়েছে বলে জানায় দলীয় সূত্র। ২০১৮ সালে দুর্নীতির মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার পর তিনি কারাবন্দি হন। পরে সরকারের নির্বাহী আদেশে তার দণ্ড স্থগিত করে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়, তবে শর্ত ছিল তিনি বিদেশ যেতে পারবেন না।
লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি হওয়ার পর ডা. জাহিদ হোসেন ওই সময় (৭ জানুয়ারির পরপরই) কিছু আপডেট জানিয়েছিলেন। তিনি সে সময় জানান, খালেদা জিয়ার লিভার সিরোসিস, পরবর্তীসময়ে কম্পেনসেন্টারি লিভার ডিজিজ বলে গ্রেড-টু, সেটার জন্য টিপস (চিকিৎসাবিজ্ঞানের বিশেষ পদ্ধতি) করা হয়েছে। হার্টে স্টেন্টিং করার পর চেক করে আবার সেটার জন্য রি-স্টেন্টিং করে অথবা চেক করে দেখতে হয় যে স্টেন্টিংটা ভালোভাবে কাজ করছে কি না।
ডা. জাহিদ আরও জানান, ওনার আরও যে ব্লক আছে, সেটা অ্যাড্রেস করা দরকার, ওনার ক্রনিক কিডনি ডিজিজ যেটা আছে, সেটা অ্যাড্রেস করতে হবে। করোনা পরবর্তীসময়ে কিছু জটিলতা হয়েছে, সেগুলো নিরসন করার ব্যবস্থা নিতে হবে।
আরও পড়ুন
মানবিক করিডোর দেশের জন্য অমানবিক হতে পারে
গণতন্ত্র এখনো চোরাবালিতে, মুক্তি আসবে তারেক রহমানের নেতৃত্বে
সব পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের পাশে থাকবে চীন