অনলাইন ডেস্ক :
মারলন স্যামুয়েলসের শাস্তি একরকম নিশ্চিতই ছিল। মাত্রাটা কেমন হয়, সেটিই ছিল দেখার। এবার জানা গেল তা। এমিরেটস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) দুর্নীতিবিরোধী আইনের চারটি ধারা ভঙ্গের দায়ে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে ছয় বছরের জন্য নিষিদ্ধ হলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী তারকা। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে স্যামুয়েলসকে অভিযুক্ত করেছিল আইসিসি। দুর্নীতিবিরোধী স্বাধীন একটি ট্রাইব্যুনালে শুনানির পর এই বছরের অগাস্টে তাকে দোষী সাব্যস্ত করে। বৃহস্পতিবার তার শাস্তির কথা জানায় ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্তা সংস্থা। নিষেধাজ্ঞা কার্যকর ধরা হয়েছে গত ১১ নভেম্বর থেকে। ১৫ বছর আগেও একই ধরনের অপরাধের জন্য শাস্তি পেয়েছিলেন তিনি।
স্যামুয়েলসের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলি ছিল ২০১৯ সালের আবু ধাবি টি-টেন টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের সঙ্গে সম্পর্কিত। সেবার কর্নাটক টাস্কার্সের স্কোয়াডে ছিলেন তিনি। যদিও কোনো ম্যাচ তিনি খেলতে পারেননি। ৪২ বছর বয়সী স্যামুয়েলসের বিরুদ্ধে যে চারটি ধারা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয় তার প্রথমটি হলো- ক্রিকেটকে কলঙ্কিত করতে পারে এমন পরিস্থিতিতে কারও কাছ থেকে পাওয়া কোনো উপহার, অর্থ, আতিথেয়তা কিংবা অন্য সুবিধাপ্রাপ্তির কথা দুর্নীতিবিরোধী কর্মকর্তার কাছে প্রকাশ না করা।
দ্বিতীয়টি- ৭৫০ ডলার বা তার বেশি মূল্যের আতিথেয়তার রিসিট না দেখানো। তৃতীয়টি- দুর্নীতিবিরোধী কর্মকর্তার তদন্তে সহায়তা না করা এবং আরেকটি- তদন্তের জন্য প্রাসঙ্গিক হতে পারে এমন তথ্য গোপন করে দুর্নীতিবিরোধী কর্মকর্তার তদন্তে বাধা দেওয়া বা বিলম্বিত করা। ট্রাইব্যুনাল তাকে চারটি ক্ষেত্রেই দোষী সাব্যস্ত করে, প্রথমটি সংখ্যাগরিষ্ঠতার সিদ্ধান্তে এবং অন্য তিনটি সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে। ২০২০ সালের নভেম্বরে পেশাদার ক্রিকেট থেকে অবসর নেন স্যামুয়েলস। অমিত সম্ভাবনাময় একজন হিসেবে ২০০০ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখেন তিনি। দেশের হয়ে খেলেছেন ৭১ টেস্ট, ২০৭ ওয়ানডে ও ৬৭ টি-টোয়েন্টি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৭ সেঞ্চুরিতে রান করেছেন ১১ হাজারের বেশি। তার ক্যারিয়ারের বড় অংশ জুড়ে একই সঙ্গে ছিল সহজাত প্রতিভার স্ফূরণ ও বিতর্ক।
সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অধ্যায় অবশ্যই ২০১২ ও ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে ‘ম্যান অব দা ম্যাচ’ হওয়া। বিতর্কের কারণেই হয়তো পূর্ণতা পায়নি তার সম্ভাবনার। আরও বড় সমস্যা ছিল শৃঙ্খলায়। ২০০২ সালে ভারত সফরে খবরের শিরোনাম হন টিম কারফিউ ভেঙে। ২০০৮ সালে আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী ধারা ভঙ্গ করে নিষিদ্ধ হন দুই বছরের জন্য। এছাড়াও বিগ ব্যাশে শেন ওয়ার্নের দিকে ব্যাট ছুড়ে মারা, ওয়ার্নের সঙ্গে পরেও নানা বিতর্ক, বেন স্টোকসের সঙ্গে লড়াই এবং আরও নানা বিতর্কে স্যামুয়েলস আলোচনায় ছিলেন নিয়মিতই।
আরও পড়ুন
শ্রীলঙ্কার জালে ৯ গোল দিয়ে সাফ মিশন শুরু চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশের
ব্যাটারদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে প্রশ্ন তুললেন আকরাম
পিছিয়ে থেকেও ফেরার গল্প লিখল বাংলাদেশ