অনলাইন ডেস্ক :
অন্তত ৮০০ করোনারোগী নিয়ে দ্য ম্যাজেস্টিক প্রিন্সেস নামের একটি প্রমোদতরী অস্ট্রেলিয়ার সিডনি বন্দরে নোঙর করেছে। ১২ দিনের যাত্রার মাঝামাঝি সময়ে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দেওয়ায় কার্নিভাল অস্ট্রেলিয়া কোম্পানির তত্ত্বাবধানে থাকা জাহাজটি সিডনিতে নোঙর করতে বাধ্য হয়। রোববার (১৩ নভেম্বর) কোম্পানিটির প্রেসিডেন্ট মার্গারিট ফিট্জগেরাল্ড এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, জাহাজটিতে চার হাজার ৬০০ জন যাত্রী ও ক্রু ছিলেন। সংক্রমণের কথা শোনা গেলে যাত্রীদের মধ্য থেকে তিন হাজার ৩০০ জনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়, যাদের মধ্য থেকে ৮০০ জন করোনা পজিটিভ শনাক্ত হন। কয়েকজন ক্রুও এ ভাইরাসে আক্রান্ত হন। এদিকে জাহাজটি অস্ট্রেলিয়ার সবেচেয়ে জনবহুল রাজ্য নিউ সাউথ ওয়েলসের রাজধানী সিডনিতে নোঙর করার পরপরই শহরে সতর্কতা জারি করেছে নিউ সাউথ ওয়েলসের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এরইমধ্যে সিডনির বাসিন্দাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশ ও তিন স্তরের সতর্কতা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন। জাহাজটির অভিভাবক কোম্পানি প্রিন্সেস ক্রুজের প্রতিনিধি জানান,করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য প্রমোদতরীতেই কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। জাহাজের ক্রুরা সংক্রমিত ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টাইনের জন্য নির্ধারিত জায়গায় সরিয়ে নিয়েছেন। নিউ সাউথ ওয়েলসের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, তারা জাহাজটির যাত্রী ও ক্রুদের শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণের জন্য প্রমোদতরীটির কর্মীদের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। আক্রান্তদের সবাইকে জাহাজেই পাঁচদিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ও করোনা নেগেটিভ ব্যক্তিদের জাহাজ ছাড়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ২০২০ সালেও একই রকম ঘটনা ঘটেছিল সিডনিতে। সে সময় বহুসংখ্যক করোনারোগী নিয়ে রুবি প্রিন্সেস নামে একটি প্রমোদতরী সিডনি বন্দরে নোঙর করে। তখন নিউ সাউথ ওয়েলসে ৯১৪ জন এ ভাইরাসে আক্রান্ত হন ও ২৮ জনের মৃত্যু হয়। গত কয়েক দিন ধরে অস্ট্রেলিয়ায় করোনা সংক্রমণ আবারও বেড়েছে। গবেষকরা ওমিক্রনের এক্সবিবি প্রজাতিকে এর জন্য দায়ী করছেন বলে জানায় প্রশাসন।
আরও পড়ুন
উড়োজাহাজ বিধ্বস্তে ৩৮ জনের মৃত্যু, আজারবাইজানে রাষ্ট্রীয় শোক পালন
বিশ্বে ক্ষুধার্ত মানুষ বাড়ছে, কমছে ধনী দেশের সাহায্য
গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসন চলছেই, একদিনে নিহত ৫৮