অনলাইন ডেস্ক :
আড়াই বছরেরও বেশি সময় পর বাসিন্দাদের মাস্ক পরার বাধ্যবাধকতা তুলে নিল হংকং। কোভিড মোকাবেলায় ২০২০ সালের জুলাইয়ে এই বাধ্যবাধকতা জারি হয়েছিল শহরটিতে; নিয়ম অমান্যে ৫ হাজার হংকং ডলার জরিমানারও বিধান ছিল, ৯৪৫ দিন পর এসব উঠল। চীনের নিয়ন্ত্রণে থাকা এ শহরটির চেয়ে বিশ্বের আর কোথাও এত লম্বা সময় ধরে কোনো কোভিড বিধিনিষেধ বহাল ছিল না। “হংকংয়ে ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে আছে, ফিরে আসার বড় ধরনের লক্ষণও দেখা যাচ্ছে না,” বুধবার (১লা মার্চ) থেকে বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার ঘোষণা দিয়ে শহরটির নেতা জন লি এ কথা বলেছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি। “এই (মাস্ক) বাধ্যবাধকতা তুলে নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হংকং স্বাভাবিক জীবনে ফেরা শুরু করবে। এ বছর, সামনের বছরগুলোতে আমরা পূর্ণোদ্যমে অর্থনীতি ও উন্নয়ন কাজে ঝাঁপিয়ে পড়বো,”গত মঙ্গলবার এমনটাই বলেছেন তিনি। হংকং মূলত ভাইরাস নির্মূলে ‘শূন্য কোভিড নীতি’সহ চীনের মূল ভূখ-ের কৌশলগুলোই অনুসরণ করেছে। কঠোর কোয়ারেন্টিন, উন্মুক্ত স্থানে লোক সমাগম সীমিত, নার্সিং হোমে দর্শনার্থীর সংখ্যা কমিয়ে দেওয়াসহ কোভিড মোকাবেলায় আরও অনেক বিধিনিষেধ ছিল হংকংয়ে, তবে সেসব বিধিনিষিধের বেশিরভাগই গত বছরের শেষ দিকে তুলে নেওয়া হয়েছিল। এসব বিধিনিষেধ হংকংয়ের অর্থনীতির ক্ষতি ও আন্তর্জাতিক অবস্থানকে দুর্বল করেছে বলে মনে করেন শহরটির অনেক বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী মনে করেন। গত বছরই শহরটির জিডিপি সাড়ে তিন শতাংশ সঙ্কুচিত হয়েছে। তবে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে হংকং বিদেশি দর্শনার্থীদের আকৃষ্ট করতে ৫ লাখ বিমান টিকেট দেওয়াসহ নানান পরিকল্পনার কথাও ঘোষণা করেছে। বুধবার থেকে বিমান টিকেট দেওয়া শুরু হচ্ছে। কোভিড মোকাবেলায় এশিয়ার কিছু অংশে এখনও মাস্ক পরার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ায় গণপরিবহন, হাসপাতাল ও ফার্মেসিতে এখনও মাস্ক পরার বিধিনিষেধ বহাল আছে। জাপান সরকার জানিয়েছে, তারাও ১৩ মার্চ থেকে মাস্ক পরার নির্দেশনা শিথিল করে কেবল ব্যস্ত সময়ে ট্রেনে ও বাসে এবং গণপরিবহনে ব্যাপক ভিড় থাকলে মাস্ক পরতে বলবে।জাপানে কখনোই মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক ছিল না, তবে দেশটির বেশিরভাগ মানুষকেই ঘরের বাইরে মাস্ক পরে থাকতে দেখা যায়।
আরও পড়ুন
উড়োজাহাজ বিধ্বস্তে ৩৮ জনের মৃত্যু, আজারবাইজানে রাষ্ট্রীয় শোক পালন
বিশ্বে ক্ষুধার্ত মানুষ বাড়ছে, কমছে ধনী দেশের সাহায্য
গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসন চলছেই, একদিনে নিহত ৫৮