September 12, 2025

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Thursday, September 11th, 2025, 2:01 pm

৯/১১ হামলায় নিহত ১১০০ জনের পরিচয় এখনো অজানা

২০২৫ সালের ১১ সেপ্টেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সংঘটিত ৯/১১ হামলার ২৪ বছর পূর্ণ হচ্ছে। ২০০১ সালের এই দিনে ছিনতাই করা ৪টি জেটবিমান দ্বারা যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক স্থানে আক্রমণ চালানো হয়। হামলার শিকার হয় নিউইয়র্ক সিটির ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের টুইন টাওয়ার, ওয়াশিংটন ডিসির পেন্টাগন ভবন এবং পেনসিলভানিয়ার একটি খামার অঞ্চল, যেখানে যাত্রীদের প্রতিরোধে একটি বিমানের ভিন্ন পরিণতি ঘটে। এই ভয়াবহ হামলায় প্রায় ৩,০০০ মানুষের প্রাণহানি ঘটে। ঘটনাটি ইতিহাসে অন্যতম ভয়ঙ্কর হামলা হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে।

পরবর্তীতে এই আত্মঘাতী হামলার দায় স্বীকার করে ওসামা বিন লাদেনের নেতৃত্বাধীন সংগঠন আল-কায়েদা। এই ঘটনার পর আফগানিস্তানে একটি দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধ চালিয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্র।

এদিকে, ৯/১১-এর স্মরণে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের পুরনো টুইন টাওয়ার স্থলে অবস্থিত ৯/১১ মেমোরিয়াল ও মিউজিয়ামে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়াও, নিউইয়র্ক সিটির সেন্ট পল’স চ্যাপেলে স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ৪৬ মিনিটে ‘বেল অব হোপ’ বা ‘আশার ঘণ্টা’ বাজানো হবে। এই সময়টি সেই মুহূর্তকে স্মরণ করিয়ে দেবে, যখন প্রথম বিমানটি টাওয়ারে আঘাত হেনেছিল। এদিকে, ওয়াশিংটন ডিসির পেন্টাগনে কর্মরত ব্যক্তিরা ১০ সেপ্টেম্বর, অর্থাৎ ৯/১১ ঘটনার আগের দিন একটি স্মরণ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন।

সিবিএস-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০০১ সালের এই আত্মঘাতী হামলার ২৪ বছর পার হলেও এখনও প্রায় ১,১০০ জন ভিকটিমের পরিচয় অজানা রয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ১,৬০০ জনকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। তবে, বাকিদের পরিচয় নিশ্চিত করতে বিজ্ঞানীদের গবেষণা এখনো অব্যাহত আছে। বিজ্ঞানীরা জানান, সেই মর্মান্তিক দিনের পর তারা অঙ্গীকার করেছিলেন, যতদিন না শেষ ভিকটিমকেও শনাক্ত করা যায়, ততদিন পর্যন্ত তারা চেষ্টা চালিয়ে যাবেন। তাদের মতে, আজও সেই প্রতিজ্ঞা ধরে রাখতে, তারা প্রতিটি অজ্ঞাত ভিকটিমকে তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন

যেসব স্থানে মানুষের দেহাবশেষ উদ্ধার করা গিয়েছিল, সেগুলো যত্নসহকারে আলাদা করে সংরক্ষণ করা হয়েছে, যাতে মৃতদের প্রতি শ্রদ্ধা অক্ষুণ্ণ থাকে। অনেক সময় এসব দেহাবশেষ এতটাই ক্ষুদ্র ছিল যে, সেগুলো মটরের দানার মতো মনে হতো। সব নমুনাই ডিএনএ পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। এরপরের বছরগুলোতে শহরের বিভিন্ন কোণায়, ছাদে, এবং লুকানো বিভিন্ন স্থানে নতুন করে দেহাবশেষ খুঁজে পাওয়া যায়।

এদিকে, প্রযুক্তির অগ্রগতির কারনে এখন আরও উন্নত পদ্ধতিতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো যাবে বলে প্রত্যাশা করছেন বিজ্ঞানীরা। ২০২৫ সালের আগস্ট মাসে আধুনিক ডিএনএ প্রযুক্তির সাহায্যে আরও ৩জন ভিকটিমের পরিচয় নিশ্চিত করা হয়। তবে, এখনো হাজারেরও বেশি ভিকটিমের পরিচয় অজানাই থেকে গেছে। বিজ্ঞানীদের বিশ্বাস, যদি নিখোঁজ ব্যক্তিদের আত্মীয়-স্বজনেরা ডিএনএ নমুনা প্রদান করেন, তাহলে আরও অনেককেই সহজে শনাক্ত করা সম্ভব হবে।

 

এনএনবাংলা/