নিজস্ব প্রতিবেদক
ভবিষ্যতে শিক্ষাঙ্গন যেন দলীয় সন্ত্রাসী তৈরির কারখানায় পরিণত না হয়, সেদিকে সবার সচেতন দৃষ্টি রাখতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
‘শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস: অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শফিকুল আলম এ কথা বলেন। আজ শনিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ‘নিরাপদ বাংলাদেশ চাই’ নামের একটি সংগঠন। পরে সংগঠনটির মুখপাত্র রায়হান উদ্দীনের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
‘রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য ফ্যাসিবাদ (আওয়ামী লীগ সরকার) ছাত্রলীগ থেকে ম্যাটেরিয়াল সংগ্রহ করত’ মন্তব্য করে শফিকুল আলম বলেন, ছাত্রলীগ করলেই কেবল চাকরি দেওয়া হতো। অন্য দলের সংশ্লিষ্টতার কারণে অনেকেই চাকরি পাননি। তাই বাধ্য হয়েই অনেকে চাকরির আশায় ছাত্রলীগ করত।
অনুষ্ঠানে ‘ছাত্রলীগের ক্যাম্পাস সন্ত্রাস: ছাত্র রাজনীতির অন্ধকারাচ্ছন্ন এক যুগ’ শিরোনামে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ভারতের সাউথ এশিয়ান ইউনিভার্সিটির এমফিল গবেষক শাহাদাৎ হোসাইন। প্রবন্ধে শিক্ষাঙ্গনে ছাত্রলীগের বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরে বলা হয়, গত ১৫ বছর ছাত্রলীগ শিক্ষাঙ্গনে ৮৬ জনকে হত্যা, ১৪টি ধর্ষণ, ৬৯টি যৌন নিপীড়ন এবং ১ হাজার ৩২টি সহিংসতার ঘটনা ঘটিয়েছে। এ ছাড়া তারা ৯৯ বার বিরোধী দলের ওপর হামলা করেছে, এতে ৪৫১ জন আহত হয়েছেন। ক্যাম্পাসগুলোয় ছাত্রলীগের হাতে ১০১ জন শিক্ষক-কর্মকর্তা-শিক্ষার্থী ও ৩৮ জন সাংবাদিক লাঞ্ছিত হয়েছেন।
সভাপতির বক্তব্যে নিরাপদ বাংলাদেশ চাইয়ের মুখপাত্র রায়হান উদ্দীন বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম পদক্ষেপ হওয়া উচিত জুলাই বিপ্লবে সংঘটিত গণহত্যা ও গত ১৫ বছরে ছাত্রলীগের করা সব সন্ত্রাসী কার্যক্রমের বিচার করা।
নিরাপদ বাংলাদেশ চাইয়ের সদস্য মোহাম্মদ জাকারিয়ার সঞ্চালনায় সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন একতার বাংলাদেশের আহ্বায়ক প্লাবন তারিক ও বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজ অ্যান্ড টেকনোলজির প্রভাষক জহিরুল ইসলাম।
আরও পড়ুন
সেন্টমার্টিন ভ্রমণে নিবন্ধনসহ যা করতে হবে পর্যটকদের
জান্নাতে বাবা-মায়ের সাথে সন্তানরা যেভাবে মিলিত হবে
কিশমিশ-মনাক্কায় যত উপকার