জেলা প্রতিনিধি, পাবনা :
নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনর হলফনামায় পাবনা-১ আসনর সংসদ সদস্য, ডেপুটি স্পিকার ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভােকট শামসুল হক টুকু বার্ষিক আয় দেখিয়েছিলেন ২ লাখ ৫ হাজার টাকা। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাখিলকৃত হলফনামায় বার্ষিক আয় এসে দাঁড়িয়েছে ২৬ লাখ ৮৪ হাজার ৫৭৮ টাকা। অর্থাৎ গেল তিন সংসদ মেয়াদে তাঁর ১৩ গুন আয় বৃদ্ধি পেয়েছে।
নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় তিনি অস্থাবর সম্পদের হিসাব দিয়েছিলেন ৩ লাখ ৪৩ হাজার টাকা। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি দাখিল করেছেন ৫ কােটি ২৫ লাখ ৪ হাজার ৫৫৩ টাকা। অর্থাৎ তার বর্তমান অস্থাবর সম্পদ ১৪৬ গুন বৃদ্ধি পেয়েছে।
হলফনামা সুত্রে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকালে তাঁর বার্ষিক আয় ছিল ১৫ লাখ ১৯ হাজার ২৪১ টাকা। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকালে তাঁর বার্ষিক আয় দাঁড়ায় ১১ লাখ ৪ হাজার ২৮৯ টাকা। অনুরপ ভাবপ দশমে তার অস্থাবর সম্পদ ছিল ১৩ কাটি ৭৪ লাখ ৬ হাজার ৯৭১ টাকা সমমূল্যর। একাদশ এসে সেই সম্পদ দাঁড়ায় ১২ কাটি ৩৬ লাখ ২ হাজার ৫৪৬ টাকা। অর্থাৎ দশম থেকে একাদশ এসে তার ১৩ লাখ ৮৪ হাজার ৪২৫ টাকার সম্পদ হ্রাস পায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানা যায়, সংসদ সদস্য অ্যাডভাকট শামসুল হক টুকু নিজ নির্বাচনী এলাকায় পৈতিক ভিটা ও পাবনা শহরে একটি বাড়ি রয়েছে। রয়েছে কৃষি জমি। গেলো ১৫ বছরে তিনি টিভি, ফ্রিজ, ফ্যান ও কাঠের আসবাবপত্র হিসেব ৯০ হাজার টাকার জিনিষের মালিক।
নবম সংসদ নির্বাচনে তিনি ঢাকা সিটি কর্পারেশন এলাকায় ৩ কাঠা জমির মালিকানা দেখিয়েছিলেন। পরবর্তী দশম ও একাদশ এবং দ্বাদশ সেটি নেই। নবম হলফনামায় তাঁর ৮ তালা বাড়ি ও স্বর্ণ থাকলেও পরবর্তী দশম, একাদশ ও দ্বাদশ এসে সেটি ১০ তালায় পরিণত হয়েছে। যার দাম ধরা হয়েছে ১০ হাজার টাকা তালা। নবমে হলফনামায় কােন যানবাহন খরচ বা সম্পদ দেখানাে হয়নি। দশম ৭১ লাখ ৩৯ হাজার ৯৮৫ টাকা, একাদশ ৯৩ লাখ টাকা এবং দ্বাদশ ৭৬ লাখ টাকা দেখানা হয়েছে।
নবম সংসদের হলফনামায় তার স্ত্রীর নামে নগদ ছিল ৮ হাজার টাকা। ব্যাংকে ছিল ৪১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। ছিল ১০ ভরি স্বর্ণ। যার মূল্য ৫ হাজার টাকা তালা হিসেবে ২৫ হাজার টাকা। ২০ লাখ টাকা মূল্যর অর্ধেক বাড়ির শেয়ার। দশমে এসে সব মিলিয়ে ১ কােটি ৫০ লাখ ৮৫ হাজার ৮০ টাকা। ১০ লাখ টাকা মূল্যের একটি বাসা, একটি ওয়ারিশ ও দুইটি হেবাসূত্র ৪৪ লক্ষ টাকা সমমানর সম্পদের মালিক হন। একাদশে এসে সব মিলিয়ে তিনি ৬৬ লাখ ৭২ হাজার ৮৩ টাকা সম্পদের মালিক হিসেবে হলফনামায় দাখিল করা হয়েছে। দ্বাদশ নির্বাচনের হলফনামায় তার স্ত্রীর নামে কােন সম্পদ বিবরণী দেয়া হয়নি। দ্বাদশ হলফনামায় তিনি একটি ব্যাংক থেকে ২ লাখ ২০ হাজার টাকার ঋণ গ্রহণের কথা উল্লেখ করেছেন।
আরও পড়ুন
আমাকে মিথ্যা আসামী বানিয়ে, মিথ্যা সাক্ষী দিয়ে ফাঁসির রায় দেয়া হয়েছিল
খুলনা শিপইয়ার্ড সড়কের কাজ দ্রুত সম্পন্নের দাবিতে জামায়াতে ইসলামীর মানববন্ধন
সখীপুরে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থেকেও নিয়মিত বেতন তোলার অভিযোগ শিক্ষক দম্পতির বিরুদ্ধে