কুড়িগ্রামে শীত ও ঘন কুয়াশায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। সন্ধ্যা থেকে পরেরদিন সকাল পর্যন্ত বৃষ্টির মতো পড়ছে ঘন কুয়াশা। এতে করে দুর্ভোগে পড়েছে এখানকার শ্রমজীবী ও ছিন্নমূল মানুষরা। এদিকে ঘনকুয়াশা উপেক্ষা করে দিনের বেলাতেও হেড লাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলতে দেখা গেছে।
আজ সোমবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে কুড়িগ্রামের কৃষি আবহাওয়া অফিস জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ১৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত দু,দিন থেকে উত্তরীয় হিমেল হাওয়ায় জবুথুবু হয়ে পড়েছে গোটা জনপদ। কনকনে ঠান্ডায় শীতবস্ত্রের অভাবে শীতের কষ্টে পড়েছে নদ-নদী তীরবর্তী চর ও দ্বীপ চরের মানুষগুলো।
সদরের যাত্রাপুর নৌকা ঘাটের মাঝি বেলাল হোসেন বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে গতকাল থেকে নৌকা চালানো মুশকিল হয়ে পড়েছে। পথ চেনা যাচ্ছে না, ১ ঘন্টার পথ ৩ ঘন্টা লাগছে। দিন ও রাতের অবস্থা একই।
সড়ক পথে তো কুয়াশা হলেও গাড়ি চালানো যায়। নৌ পথে নৌকা চালানো যাচ্ছে না। খুব একটা সমস্যায় পড়ছি আমরা নৌকার মাঝিরা।
সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের খাঁন পাড়া এলাকার তাজুল ইসলাম বলেন, রাত থেকে এতো পরিমাণে কুয়াশা পড়ছে, যা গত দুই-তিন বছরে পড়েনি। রাতে বৃষ্টির মতো পড়ছে কুয়াশা।
একই ইউনিয়নের পোড়ার চরের জহুরুল ইসলাম বলেন, দুইদিন থেকে খুব ঠান্ডা ও কুয়াশা। ছোট ছোট বাচ্চাদের নিয়ে খুব চিন্তায় আছি। আমাদের চরে তো সবসময় বাতাস থাকে তাই খুব ঠান্ডা। বাড়ি থেকে বাহির হওয়া যাচ্ছে না। গতকালও সারাদিন কুয়াশায় ঢাকা ছিল আমাদের এলাকা। আজ কুয়াশা আরও বেশি।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, আজ সকালে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে- ১৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এখন থেকে তাপমাত্রা কমতে থাকবে। তবে আগামী ২০ তারিখের পরে এ অঞ্চলের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্য প্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
—-ইউএনবি
আরও পড়ুন
শেরপুর ও ময়মনসিংহে আকস্মিক বন্যা, তলিয়ে গেছে ১৬৩ গ্রাম
ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধে কতটা প্রভাব ফেলবে ইরানের আঞ্চলিক মিত্ররা
শেয়ারবাজারে লেনদেন কমেছে ৩৭%, সূচকেরও বড় পতন