October 5, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Monday, January 8th, 2024, 8:11 pm

আইসিসি ‘প্লেয়ার অব দা মান্থ’-এ তাইজুল

অনলাইন ডেস্ক :

দেশের মাটিতে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে চমৎকার বোলিং তাইজুল ইসলামকে এনে দিতে পারে দারুণ এক স্বীকৃতি। আইসিসি ‘প্লেয়ার অব দা মান্থ’-এর সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা পেয়েছেন বাংলাদেশের এই বাঁহাতি স্পিনার। ডিসেম্বর মাসের সেরার লড়াইয়ে তার সঙ্গী অস্ট্রেলিয়ার প্যাট কামিন্স ও নিউ জিল্যান্ডের গ্লেন ফিলিপস। গত মাসের সেরার লড়াইয়ে থাকা পুরুষ ও নারী ক্রিকেটারদের নাম সোমবার ঘোষণা করে বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্তা সংস্থা। মেয়েদের সংক্ষিপ্ত তালিকায় আছেন ভারতের জেমিমা রদ্রিগেস, দীপ্তি শার্মা ও জিম্বাবুয়ের প্রেশাস মারাঙ্গে।

তাইজুল ইসলাম (বাংলাদেশ)
মাস সেরার লড়াইয়ে তাইজুল জায়গা পেলেন প্রথমবার। নভেম্বর-ডিসেম্বর মিলিয়ে হওয়া নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে সিলেট টেস্টে বাংলাদেশের জয়ের নায়ক ছিলেন তিনি। ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়ে তিনিই হন ‘ম্যান অব দা ম্যাচ’। দেশের মাটিতে কিউইদের বিপক্ষে প্রথমবার এই সংস্করণে জয়ের স্বাদ পায় বাংলাদেশ। ওই ম্যাচে প্রথম ইনিংসে তাইজুল ৪ উইকেট নেন ১০৯ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে ৭৫ রানে ধরেন ৬ শিকার। বাংলাদেশ ম্যাচ জেতে ১৫০ রানের বড় ব্যবধানে। মিরপুরে দ্বিতীয় টেস্টে নিউ জিল্যান্ডের সঙ্গে দারুণ লড়াই করেও শেষ পর্যন্ত হেরে যায় বাংলাদেশ। বল হাতে যথারীতি উজ্জ্বল ছিলেন তাইজুল। প্রথম ইনিংসে ৬৪ রানে ৩ উইকেটের পর দ্বিতীয়টিতে ৫৮ রানে নেন ২টি। দুই ম্যাচে ১৫ উইকেট নিয়ে সিরিজের সেরা হন তিনিই।

প্যাট কামিন্স (অস্ট্রেলিয়া)
২০২৩ সালটা দুর্দান্ত কাটে কামিন্সের। বছরের শেষ মাসটাও অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক রাঙান দারুণ পারফরম্যান্সে। পাকিস্তানকে ৩-০তে হোয়াইটওয়াশ করা টেস্ট সিরিজের দুটি ম্যাচ হয় ডিসেম্বরে। ওই দুই ম্যাচে কামিন্স ধরেন ১৩ শিকার। পার্থে প্রথম টেস্টে দুই ইনিংস মিলিয়ে কামিন্সের প্রাপ্তি ছিল ৩ উইকেট। মেলবোর্নে পরের ম্যাচে এই পেসার দুই ইনিংসেই ধরেন ৫টি করে শিকার। প্রথম ইনিংসে ৪৮ রানে, পরেরটিতে ৪৯ রানে নেন ৫ উইকেট। মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডের সুদীর্ঘ ইতিহাসে প্রথম অধিনায়ক হিসেবে এক টেস্টে ১০ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েন তিনি।

গ্লেন ফিলিপস (নিউ জিল্যান্ড)
সিলেট টেস্টে গ্লেন ফিলিপসের অলরাউন্ড নৈপুণ্য আড়ালে পড়ে যায় তাইজুলের চমৎকার বোলিংয়ের কারণে। ওই ম্যাচে ব্যাটিংয়ে ৫৪ রানের পাশাপাশি হাত ঘুরিয়ে ফিলিপস নেন ৫ উইকেট। মিরপুরে পরের ম্যাচে নিউ জিল্যান্ডের জয়ের নায়ক তিনিই। ব্যাটিং দুরূহ উইকেটে প্রথম ইনিংসে ৭২ বলে ৮৭ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন ২৭ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান। পরে ১৩৭ রানের লক্ষ্য তাড়ায় দল যখন ৬ উইকেটে ৬৯ রানের নড়বড়ে অবস্থানে, ৪৮ বলে অপরাজিত ৪০ রানের ইনিংসে দলের জয় নিয়ে ফেরেন তিনি। এ ছাড়া প্রথম ইনিংসে অফ স্পিনে ধরেন ৩ শিকার। ডিসেম্বরে ঘরের মাঠে বাংলাদেশের বিপক্ষে তিনটি টি-টোয়েন্টিও খেলেন ফিলিপস। সেখানে অবশ্য ভালো করতে পারেননি। তিন ম্যাচে করতে পারেন স্রেফ ১০ রান।

প্রেশাস মারাঙ্গে (জিম্বাবুয়ে)
বল হাতে ডিসেম্বর মাসটা স্বপ্নের মতো কাটে মারাঙ্গের। ৪১ বছর বয়সী এই অফ স্পিনার উইমেন’স টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আফ্রিকা অঞ্চলের বাছাইয়ে জিম্বাবুয়ের প্রথম ম্যাচে কেনিয়ার বিপক্ষে ৯ রানে নেন ২ উইকেট। দ্বিতীয় ম্যাচে বতসোয়ানার বিপক্ষে উইকেটশূন্য থাকলেও পরের টানা তিন ম্যাচে ‘প্লেয়ার অব দা ম্যাচ’ হন তিনি। তানজানিয়ার বিপক্ষে ১৩ রানে ৩টি, নামিবিয়ার বিপক্ষে ৯ রানে ৩টি এবং উগান্ডার বিপক্ষে স্রেফ ৭ রানে ৫টি উইকেট নেন মারাঙ্গে; এই ৫টির ৩টি আবার টানা তিন বলে, মানে হ্যাটট্রিক!

জেমিমা রদ্রিগেস (ভারত)
ডিসেম্বর মাসে তিন সংস্করণেই ব্যাট হাতে আলো ছড়ান রদ্রিগেস। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ দুটি টি-টোয়েন্টিতে করেন ৩০ ও ২৯ রান। এরপর ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট জয়ে তার ছিল বড় অবদান। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে করেন ৬৮, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৭৩। এরপর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম দুই ওয়ানডেতে খেলেন ৮২ ও ৪৪ রানের ইনিংস। গত মাসে টেস্ট ও ওয়ানডেতে তার ব্যাটিং গড় ছিল ৬০ এর বেশি।

দীপ্তি শার্মা (ভারত)
ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট জয়ের মূল নায়ক ছিলেন অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার দীপ্তি। ওই ম্যাচে ব্যাট হাতে তিনি খেলেন ৬৭ ও ২০ রানের ইনিংস। বোলিংয়ে ম্যাচে নেন ৯ উইকেট- প্রথম ইনিংসে স্রেফ ৭ রানে ৫টি, দ্বিতীয় ইনিংসে ৩২ রানে ৪টি। দলকে ৩৪৭ রানে জিতিয়ে ম্যাচ সেরা হন তিনিই। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দলের ৮ উইকেটে জেতা টেস্টেও বড় অবদান রাখেন দীপ্তি। ব্যাটিংয়ে একমাত্র ইনিংসে করেন ৭৮ রান। বোলিংয়ে প্রথম ইনিংসে নেন ২ উইকেট। পরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে তিনি ৫ শিকার ধরেন ৩৮ রান দিয়ে।