অনলাইন ডেস্ক :
সেই ২০০৩ সালে স্রেফ ১৫ বছর বয়সে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে পথচলার শুরু। আন্তর্জাতিক আঙিনায় দুই দশকের বিচরণে নানা অর্জনে নিজেকে রাঙিয়েছেন আনিসা মোহাম্মেদ। বল হাতে ছেলে-মেয়ে মিলিয়েই গড়েছেন ইতিহাস, নাম লিখিয়েছেন অনেক অর্জনে। গৌরবময় সেই অধ্যায়ের অবশেষে ইতি টানলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই অফ স্পিনার। শুধু আনিসাই নয়, একসঙ্গে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের আরও তিন ক্রিকেটার- পেসার শাকেলা সেলমান, দুই জমজ বোন কিপার-ব্যাটার কাইসিয়া নাইট ও ব্যাটার কাইশোনা নাইট। চারজনই ছিলেন ২০১৬ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের সদস্য। তাদের মধ্যে উজ্জ্বলতম তারা অবশ্যই আনিসা। ৫টি ওয়ানডে বিশ্বকাপ ও ৭টি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলিং আক্রমণে ছিলেন তিনি।
১৪১ ওয়ানডে খেলে তার শিকার ১৮০ উইকেট, ১১৭ টি-টোয়েন্টিতে উইকেট ১২৫টি। দুই সংস্করণেই তিনি ওয়েস্ট ইন্ডিজের সফলতম বোলার। বিশ্ব ক্রিকেটেই তার চেয়ে বেশি উইকেট শিকারি এই দুই সংস্করণে আছেন স্রেফ দুজন করে। ‘অনন্য’ কীর্তিও কম নেই তার। ছেলে-মেয়ে মিলিয়েই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১০০ উইকেট শিকারি প্রথম বোলার তিনি। ক্যারিবিয়ান মেয়েদের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে হ্যাটট্রিক করা প্রথম বোলারও। বেশ কিছুদিন ধরেই অবশ্য জাতীয় দল থেকে দূরে ছিলেন আনিসা। ২০২২ সালে সেপ্টেম্বরে ক্রিকেট থেকে ৬ মাসের বিরতি নেন মানসিক ক্লান্তির কারণে। পরে ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরলেও জাতীয় দলে আর দেখা যায়নি তাকে।
এবার বিদায়ই বলে দিলেন ৩৫ বছর বয়সে। ৩৪ বছর বয়সী পেসার শাকেলা সেলমান ১০০ ওয়ানডে খেলে উইকেট নিয়েছেন ৯১টি, ৯৬ টি-টোয়েন্টি খেলে শিকার ৫১টি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সবশেষ খেলেছেন তিনি গত ফেব্রুয়ারিতে। জমজ বোন কাইসিয়া ও কাইশোনা বিদায় বলে দিলেন তুলনামূলক কম বয়সেই। বয়স এখনও ৩২ হয়নি তাদের। তবে এক বছর ধরে জাতীয় দলের বাইরে ছিলেন তারা দুজনও। কিপার-ব্যাটার কাইসিয়া ৮৭ ওয়ানডে খেলে রান করেছেন ১ হাজার ৩২৭, ৭০ টি-টোয়েন্টিতে রান ৮০১। কাইশোনার রান ৫১ ওয়ানডেতে ৮৫১, ৫৫ টি-টোয়েন্টিতে ৫৪৬।
আরও পড়ুন
মৌসুমসেরা ফুটবলারদের বাফুফের পুরস্কার
২৯ স্ট্রাইকরেট, ৩৩ গড়, নেই কোনো ছক্কা—ভারতীয় দলে এই খেলোয়াড় না থাকাতেই খুশি হ্যাজলউড
শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় ক্রীড়াঙ্গনে জাকারিয়া পিন্টুর শেষ বিদায়