November 20, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Monday, September 13th, 2021, 8:25 pm

ঢাকা মেডিকেলে নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ

সোমবার ঢাকা মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস কোর্সের ওরিয়েন্টেশন শেষে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের আনন্দ উল্লাস।

নিজস্ব প্রতিবেদক:

করোনার কারণে ঢাকা মেডিকেল কলেজে (ঢামেক) স্বল্প পরিসরে হয়েছে প্রথম বর্ষের ছাত্র-ছাত্রীদের নবীন বরণ অনুষ্ঠান। সোমবার  (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে ঢামেক গ্যালারিতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. টিটো মিঞা, উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. শফিকুল ইসলাম চৌধুরীসহ কলেজের শিক্ষক ও অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন অধ্যাপক ডা. দেবেস চন্দ্র তালুকদার। ঢামেক কর্তৃপক্ষ জানান, স্বাভাবিক সময়ে প্রতি বছর মত নবীন বরণ অনুষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রীসহ তাদের অভিভাবকদেরও দাওয়াত করা হতো। স্বাস্থ্যমন্ত্রীও অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতেন। কিন্তু এবার করোনা ভাইরাসের কারণে অনুষ্ঠান স্বল্প পরিসরে শেষ হয়েছে। কয়েকজন ছাত্র-ছাত্রীর অভিভাবক আসলেও তারা অনুষ্ঠানে যোগদানের সুযোগ পাননি। বাইরে থেকেই তাদের অনুষ্ঠান শেষ করতে হয়েছে।

সোমবার ঢাকা মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস কোর্সের ওরিয়েন্টেশন শেষে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের আনন্দ উল্লাস।

উত্তর শাহজাহানপুর থেকে আসা সবিতা রানী প্রামানিক নামে এক অভিভাবক বলেন, আমার ছেলে সৌমিক প্রামানিক এবার ঢাকা মেডিকেল কলেজে চান্স পেয়েছে, এটা আমার কাছে খুবই আনন্দের বিষয়। আজ আমার ছেলের নবীন বরণ অনুষ্ঠান। ছেলের অনুরোধে কলেজে এসেছি। করোনার কারণে অনুষ্ঠান স্বল্প পরিসরে হয়েছে। মালিবাগ থেকে আসা ছাত্র অনিক সাহার মা লিপি চৌধুরী বলেন, আমার ছেলে চান্স পেয়েছে। এটা আমার কাছে অনেক বড় পাওয়া। আমি চাই আমার ছেলে ডাক্তারের পাশাপাশি ভাল মানুষ হোক। নবীন বরণ অনুষ্ঠানে উপাধ্যাক্ষ অধ্যাপক ডা. শফিকুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজে (ঢামেক) লেখাপড়ার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক চর্চাসহ বিভিন্ন ধরনের কাজের সুযোগ রয়েছে। ঢামেক একটি স্বনামধন্য কলেজ। বিশ্বে এর ব্যাপক পরিচিতি। শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, তোমরা শুধু এখানে চিকৎসক হতে এসেছো। আমি চাই ডাক্তারের পাশাপাশি ভাল মানুষ হবে। রোগীরা যেন তোমাদের ব্যবাহারে অর্ধেক ভাল হয়ে যায়। তিনি আরও বলেন, ঢামেক সারা বিশ্বের মধ্যে প্রাচীন কলেজ। তোমারা এ কলেজে ভর্তি হতে পেরেছো, আমরা গর্বিত।

তোমাদের অভিভাবকদের শ্রদ্ধা ও অভিনন্দন জানাই। অধ্যক্ষ ডা. টিটো মিঞা বলেন, তোমরা শুধু ডাক্তার হবে না, নিজেকে মানুষ হিসাবে গড়ে তুলবে। একজন রোগী শুধু ডাক্তার চায় না। চায় তার সদাচরণও। একজন ডাক্তার শুধু রোগীকে ওষুধ দেবে তা কিন্তু নয়, ব্যবহারের মাধ্যমে রোগীকে সারিয়ে তুলতে পারে। ভাল হওয়ার জন্য কাজ করবা। যে অন্যের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করতে পারে সেইতো প্রকৃত মানুষ। বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের কথা স্মরণ করে ঢামেক অধ্যক্ষ বলেন, তিনি (বঙ্গবন্ধু) সারা জীবন মানুষকে দিয়ে গেছেন, তার জন্যই আজ এই বাংলাদেশ। মানুষ আজও তাকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে। তোমরাও অন্যের জন্য কাজ করবে। আমরা বাংলাদেশকে স্বাস্থ্য সেবার ক্ষেত্রে সর্বশ্রেষ্ঠ দেশ হিসেবে গড়ে তুলবো। তিনি বলেন, ছাত্র-ছাত্রীদের মনোবল চাঙা করার জন্য আজ স্বল্প পরিসরে এই অনুষ্ঠান করেছি। দেশের করোনা ভাইরাসের কারণে বড় করে অনুষ্ঠান করা সম্ভব হয়নি। খেয়াল রাখবে স্বাস্থ্যবিধি যেন কোনোভাবেই লঙ্ঘিত না হয়।