অনলাইন ডেস্ক :
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট মিসরে সফর করেছেন। এই সফরের সময় তিনি মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনের মধ্যে দীর্ঘদিনের সংঘাত এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করেছেন তারা। গত এক দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো ইসরায়েলের কোনো প্রধানমন্ত্রী মিসরে আনুষ্ঠানিক সফরে গেলেন। ডানপন্থি ইয়ামিনা পার্টির প্রধান বেনেট গত জুনে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণ করেন। সোমবার সিনাই উপদ্বীপের দক্ষিণ প্রান্তে শারম আল-শেখের রেড সি রিসোর্টে মিসরের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। মিসরের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, ইসরায়েলি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনায় দখলকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চলে শান্তি বজায় রাখা এবং সেখানে পুনর্নির্মাণের প্রচেষ্টার জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তার গুরুত্ব উল্লেখ করেছেন আল সিসি। দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের ভিত্তিতে মধ্যপ্রাচ্যে ব্যাপক শান্তি প্রতিষ্ঠায় সব ধরনের প্রচেষ্টার জন্য মিসর সমর্থন দিয়ে যাবে বলেও নিশ্চিত করেছেন তিনি। দেশে ফেরার আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বেনেট বলেন, কূটনীতি, নিরাপত্তা এবং অর্থনীতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কয়েকদিন আগেই ইসরায়েলের নিরাপত্তা উপদেষ্টা ইয়াল হুলাতা গোপনে মিসরের রাজধানী কায়রোতে সফর করেছেন। সেখানে তিনি মিসরের গোয়েন্দা প্রধান আব্বাস কামেল এবং দেশটির অন্যান্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাত করেন। ইসরায়েলের একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে মিসর সফরে যান হুলাতা। সেখানে তিনি আব্বাস কামেল এবং মিসরের গোয়েন্দা কর্মকর্তা আহমেদ আবদুল খালেকের সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন। ১৯৭৯ সালে প্রথম আরব দেশ হিসেবে ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তি চুক্তি করে মিসর। মাঝে কয়েক বছর দু’দেশের সম্পর্ক বেশ শীতল ছিল। কিন্তু ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনের মধ্যে সংঘাত বন্ধ করে যুদ্ধবিরতির ক্ষেত্রে বেশ কয়েক বার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে মিসর। গত মে মাসে মিসরের মধ্যস্থতায় গাজা উপত্যকায় ১১ দিনের সংঘাত বন্ধ হয় এবং যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়। ওই সংঘাতে ২৬০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। অপরদিকে ইসরায়েলে নিহত হয়েছে ১৩ জন।
আরও পড়ুন
ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধের পর প্রথমবার জনসমক্ষে খামেনি
বিমানে ২০০ জনকে সীমান্তে আনলো ভারত, টার্গেট বাংলাদেশে ‘পুশইন’
নতুন রাজনৈতিক দল ‘আমেরিকা পার্টি’ গঠনের ঘোষণা ইলন মাস্কের