অনলাইন ডেস্ক :
জাতীয় নির্বাচক হিসেবে মেয়াদ শেষ হওয়ার কয়েক দিন আগেই নতুন দায়িত্ব পেলে গেলেন হাবিবুল বাশার। দীর্ঘ দিন ছেলেদের দলের নির্বাচক হিসেবে কাজ করা সাবেক অধিনায়ককে এখন থেকে দেখা যাবে বিসিবির নারী বিভাগের নতুন পদে। তার নিজের মতে যা ‘বড় এক দায়িত্ব।’ মিরপুরে বিসিবি কার্যালয়ে মঙ্গলবার উইমেন’স উইং-এর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন হাবিবুল। তাকে স্বাগত জানান বিসিবির নারী বিভাগের প্রধান শফিউল আলম চৌধুরি ও অধিনায়ক নিগার সুলতানা। গত সপ্তাহে ছেলেদের নির্বাচক হিসেবে মিনহাজুল আবেদীন ও হাবিবুলের চুক্তি নবায়ন না করার সিদ্ধান্ত জানায় বিসিবি। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান তখনই জানান, উপযুক্ত দায়িত্ব দিয়ে দুজনকেই কাজে লাগাবে বোর্ড। সেই ধারাবাহিকতায় নতুন দায়িত্ব পেয়ে গেলেন হাবিবুল। মিনহাজুলের দায়িত্ব এখনও ঠিক হয়নি। জাতীয় নির্বাচক হিসেবে দুজনেরই মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারি।
হাবিবুল বললেন, নতুন দায়িত্বে নিজস্ব কিছু পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করতে চান তিনি। “দায়িত্বটা এখন অনেক বড়। অনেক বড় দায়িত্ব। এখানে অনেক কিছুই করার আছে। নারী ক্রিকেট নিয়ে আমার নিজেরও কিছু পরিকল্পনা আছে। ধীরে ধীরে গুছিয়ে নেই। তারপর ধাপে ধাপে হয়তো সেগুলো বাস্তবায়ন করব।” “নারী ক্রিকেটে কাজ করার অনেক জায়গা আছে। মেয়েদের খেলাও অনেক বেড়েছে। কাজ করার ক্ষেত্রটাও অনেক বড় এখন। দেখা যাক কীভাবে এগোয়। মাত্র তো শুরু করলাম। আপাতত আমি দায়িত্বটা বুঝে নিয়েছি।” হাবিবুল জানালেন, নতুন এই দায়িত্বে বিসিবির সঙ্গে তার চুক্তির মেয়াদ এখনও ঠিক হয়নি।
তবে মঙ্গলবার থেকেই নারী বিভাগের প্রধান হিসেবে তার অধ্যায় শুরু হয়ে গেছে। যেখানে উইমেন’স উইংয়ের চেয়ারম্যান শফিউল আলমের ঠিক পরেই থাকছে তার অবস্থান। খেলোয়াড়ি জীবনের ইতি টানার পর ২০১১ সালে প্রথমবার ছেলেদের জাতীয় দলের নির্বাচক কমিটিতে জায়গা পান হাবিবুল। দুই বছর পর বাড়ানো হয় তার চুক্তির মেয়াদ। ২০১৫ সালে হাবিবুলকে নারী দলের নির্বাচক করা হয়। পরের বছরের জুনে সেই সময়ের প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদ পদত্যাগ করলে প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব পান মিনহাজুল। হাবিবুল আবার ফেরেন নির্বাচক কমিটিতে। সেই থেকে টানা দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন হাবিবুল। এবার শুরু হচ্ছে তার ভিন্ন দায়িত্ব।
আরও পড়ুন
কার দিকে, কেন তেড়ে গিয়েছিলেন তামিম
শেষ ওভারে ৩ ছক্কা ৩ চার, ৩০ রান নিয়ে রংপুরকে জেতালেন নুরুল
মোহামেডানকে হারালো আবাহনী দুই বছর পর