জেলা প্রতিনিধি, মৌলভীবাজার:
কুলাউড়া উপজেলার ভুকশিমইল ইউনিয়নের হযরত শাহ রাখাল (রা.) মাজারে ওরুসের নামে রাতভর চলে উদ্দাম নৃত্য। ১৮ ফেব্রুয়ারি রোববার রাতে উপজেলার হযরত শাহ রাখাল (রা:) মাজার শরীফে ৩৯তম ওরুসের নামে এমন অশ্লীল নৃত্যের আয়োজন করে মাজার কমিটি।
সরেজমিনে দেখা যায়, মাজারের পেছনে বড় একটি আসর এবং হাকালুকি হাওরের মধ্যে (স্থানীয় লোকজনের মতে ডের) আরও ৭টি কাফেলায় গানের আসর বসে। প্রত্যেকটি কাফেলাতে নারী শিল্পীরা গান পরিবেশন করেন। ওরুসে ৭টি কাফেলায় ২৫-৩০ জন নারী শিল্পী অশ্লীল নৃত্য পরিবেশন করেন। মাইক ও সাউন্ড বক্সের বিকট শব্দে এলাকার বৃদ্ধ লোক, রোগী এবং বিশেষ করে এবারের এসএসসি পরীক্ষার্থীরাও বাড়িতে ঘুমাতে পারেননি। অনেক হার্টের রোগীদেরও সমস্যা হয়। নামাজের ব্যাঘাত ঘটেছে এমন অভিযোগ মুসল্লিদের।
স্থানীয় লোকজন জানান, রাত ১০টা বাজার সাথে সাথেই গানের আসর শুরু হয়। এসব আসরে উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় হাজার হাজারের যুবক, যুবতী, নারী ও পুরুষ দর্শক উপস্থিত ছিলেন। সারারাত নারী শিল্পিরা গান পরিবেশন করেন। সকালে কাফেলার নৃত্য শেষ হয়। এসময় গানের তালে তালে যুবক, যুবতী, নারী ও পুরুষ নাচেন। গানের পাশাপাশি চলে গাজা সেবন। নেশা বোধ হয়ে শিল্পীদের গানের সাথে নাচেন যুবক ও যুবতীরা। এদিকে একই দিন একই ওরসের বাদে ভুকশিমইল গ্রামের পূর্বপাশে ২টি কাফেলা বসানো হয়। সেখানেও নারী শিল্পীরা অশ্লীল নৃত্য পরিবেশন করেন বলে স্থানীয়রা নিশ্চিত করেছেন। এমন অশ্লীল কাজের সমালোচনা করছেন স্থানীয়রা। রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসব গান প্রচারিত হলে তুমুল সমালোচনার ঝড় উঠে। সামাজিক অবক্ষয়ের দাবি করে এসব বন্ধের দাবি জানান নেটিজেনরা।
স্থানীয় লোকজন জানান, ওরসকে কেন্দ্র করে ওই মাজারে দু’টি গ্রুপের সৃষ্টি হয়েছে। ভুকশিমইল ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও সাবেক চেয়ারম্যান রয়েছেন দু’টি গ্রুপের।
এ বিষয়ে ভুকশিমইল ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান মনির জানান, ওরুসের নামে কি হয়েছে আমার জানা নেই। তিনি সিলেট আছেন বলে জানান। বিষয়টি জানতে পেরে তিনি খোঁজ নিয়েছেন কিন্তু কেউ কিছু বলতে পারেনি।
আরও পড়ুন
ময়মনসিংহে মোবাইল বিস্ফোরণে চিকিৎসকের মৃত্যু
দীর্ঘ নির্বাসন শেষে দেশে ফিরলেন মাহমুদুর রহমান
ভারতের বিহারে ধর্মীয় উৎসবের সময় পানিতে ডুবে ৪৬ জনের মৃত্যু