কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (১৩ মার্চ) সন্ধ্যায় প্রতিপক্ষের লোকজনের হাতে নিহত হন আমিরুল ইসলাম নান্নু (৫২)। ঘটনাটির পর বিক্ষুব্ধ লোকজন অভিযুক্তদের বাড়িঘরে আগুন দেন।
কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) পলাশ কান্তি নাথ বলেন, দলাদলিকে কেন্দ্র করে স্থানীয় দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব ছিল। এরই জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) নিহতের বড় ভাই জহিরুল ইসলাম লালু বাদী হয়ে ১৬ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত পাঁচ থেকে ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
এজাহারে বলা হয়, বুধবার সন্ধ্যায় মোটরসাইকেলে পুকুর পাহারা দিতে যাচ্ছিলেন নান্নু। অভিযুক্তরা তার পথরোধ করে আকালের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে যদুবয়রা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, হালিম, আকাশ রেজা ও সবুজ তাকে হত্যার হুমকি দেন। পরে অন্যরা নান্নুকে এলোপাতাড়ি মারধর ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে বাড়ির পাশের একটি মাঠে ফেলে আসে।
স্থানীয়রা জানায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় থেকে ওই এলাকায় নৌকার প্রার্থী সেলিম আলতাফ জর্জ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুর রউফ গ্রুপের মধ্যে বিরোধে চলছিল। নান্নু নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর হয়ে কাজ করেন। নির্বাচনে ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হন। নির্বাচনের পরেও দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছিল।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকিবুল ইসলাম বলেন, নিহতের ভাই জহুরুল ইসলাম বাদি হয়ে হত্যা মামলা করেছেন। আটক ব্যক্তিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
—–ইউএনবি
আরও পড়ুন
নাসিরনগরে ৫০ জন সমাজভিত্তিক সংগঠনের সদস্যের মাঝে সাইলো বিতরণ
জয়পুরহাটে বিসিআইসি সার ডিলারদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান
খুলনায় নিমকো’র আয়োজনে গণমাধ্যমকর্মীদের নিয়ে টাইফয়েড টিকাদান বিষয়ক কর্মশালা