চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় স্বামী-স্ত্রীকে গলাকেটে হত্যার দায়ে তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
এ ঘটনায় আরেক আসামিকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দুপুরে আসামিদের উপস্থিতিতে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মো. মাসুদ আলী এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণার পর দণ্ডিতদের চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে নেওয়া হয়।
মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামিরা হলেন- চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার আসান নগর গ্রামের ক্লাবপাড়ার বজলুর রহমানের ছেলে সাহাবুল হক, একই গ্রামের শেষপাড়ার পিন্টু রহমানের ছেলে রাজিব হোসেন এবং আসাননগর গ্রামের মাঝেরপাড়ার মাসুদ আলীর ছেলে বিদ্যুৎ আলী।
এছাড়া আসাননগর গ্রামের স্কুলপাড়ার তাহাজ উদ্দিনের ছেলে শাকিল হোসেনকে দুই বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন।
চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) আইনজীবী গিয়াস উদ্দিন বলেন, ৩৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৯ জনের সাক্ষ্য শেষে চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মো. মাসুদ আলী আসামির উপস্থিতিতে মঙ্গলবার দুপুরে রায় ঘোষণা করেন।
মামলার এজাহারের বিবরণ সূত্রে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা পৌর এলাকার পুরাতন বাজারপাড়ায় বাস করতেন নজির মিয়া ও তার স্ত্রী ফরিদা খাতুন। ২০২২ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর রাতে যেকোনো সময় গলা কেটে হত্যা করেন আসামিরা।
এ ঘটনায় নিহতের মেয়ে ডালিয়ারা পারভীন বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় ২৫ সেপ্টেম্বর হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই মোহাম্মদ শিহাব উদ্দীন তদন্ত শেষে হত্যায় সরাসরি জড়িত সাহাবুল হক, রাজিব হোসেন, বিদ্যুৎ আলী ও ভিকটিমের মোবাইল কেনায় জড়িত শাকিল হোসেনের নামে ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
—–ইউএনবি
আরও পড়ুন
চট্টগ্রাম আদালতের গায়েব হওয়া ১৯১১ নথির খোঁজ মেলেনি
রেলস্টেশনের মনিটরে অশ্লীল দৃশ্য : জড়িতদের খোঁজার নির্দেশ
অসদাচরণের ৩৩ অভিযোগ, বিচারকের ১২ ও কমকর্তা-কর্মচারীদের ১৫