অনলাইন ডেস্ক :
চলতি মাসেই শুরু হচ্ছে ভারতের লোকসভা নির্বাচন। এমন সময়ে ছত্তিশগড়ে পুলিশের এক অভিযানে মারা গেছেন ১৩ জন মাওবাদী বিদ্রোহী। ভারতে নির্বাচনের প্রচার এখন তুঙ্গে। তার মধ্যেই ছত্তিশগড়ে মাওবাদী বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে পুলিশ। ১৪ ঘণ্টা ধরে চলে অভিযান। এই অভিযানে ১৩ জন নিহত হওয়ায় চলতি বছর পুলিশের অভিযানে মোট ৫০ জন মাওবাদী নিহত হলেন।
পুলিশের দাবি, ছত্তিশগড়ের বিজাপুর জেলায় মঙ্গলবার নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সংঘর্ষ হয়। বার্তা সংস্থা এএফপিকে স্থানীয় পুলিশপ্রধান পি সুন্দারা বলেন, ‘নিহত মাওবাদীদের পরিচয় এখনো জানা যায়নি।’ নিহতদের মধ্যে তিনজন নারীও ছিলেন। এই অভিযানের পর পুলিশ বেশ কিছু রাইফেল, মেশিনগান, গ্রেনেড লঞ্চার ও গোলাগুলি বাজেয়াপ্ত করে।
কেন ভারতে মাওবাদী বিদ্রোহীরা সক্রিয়?
মাওবাদী বিদ্রোহী বা নকশালপন্থিরা দাবি করেন, তারা ভারতের প্রান্তিক গরিব মানুষের অধিকারের জন্য লড়াই করেন। এই গোষ্ঠীর উত্থান পশ্চিমবঙ্গের নকশালবাড়ী গ্রাম থেকে। ১৯৬৭ সালে সেখানেই শুরু হয়েছিল মাওবাদীদের সরকারবিরোধী আন্দোলন। সেই থেকে বিভিন্ন বিদ্রোহী গোষ্ঠী নানা ধরনের গেরিলা হামলা চালিয়ে আসছে বলেই ভারত সরকার তাদের নিরাপত্তার ঝুঁকি হিসেবে চিহ্নিত করে।
ভারত সরকারের মতে, এমন বিদ্রোহীরা ২০২৩ সালে দেশের ৪৫টি জেলায় সক্রিয় ছিল। ২০১০ সালে মাওবাদী বিদ্রোহীদের সক্রিয়তা লক্ষণীয় ছিল ৯৬টি জেলায়। নির্বাচন সামনে রেখে ভারতের পূর্ব, দক্ষিণ ও মধ্য অঞ্চলের মাওবাদী-অধ্যুষিত ‘রেড করিডরে’ সামরিক বাহিনীর হাজার হাজার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের বিভিন্ন অংশে সব মিলিয়ে সাতটি দফায় ভোট গ্রহণ চলবে ১৯ এপ্রিল থেকে ১ জুন পর্যন্ত। —ডয়চেভেলে
আরও পড়ুন
ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধের পর প্রথমবার জনসমক্ষে খামেনি
বিমানে ২০০ জনকে সীমান্তে আনলো ভারত, টার্গেট বাংলাদেশে ‘পুশইন’
নতুন রাজনৈতিক দল ‘আমেরিকা পার্টি’ গঠনের ঘোষণা ইলন মাস্কের