রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে চলছে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের ‘সর্বাত্মক অসহযোগ’ আন্দোলন।
রবিবার (৪ আগস্ট) সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে তেমন যান চলাচল না থাকায় যাত্রীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। অনেককে হেঁটে বা ছোট যানবাহনগুলোতে করে কর্মস্থলে যেতে দেখা যায়।
গণপরিবহনের উপস্থিতি কম থাকলেও কিছু প্রাইভেটকার, মোটরবাইক, সিএনজি এবং বাইক চলাচল করতে দেখা গেছে।
এদিন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো ছুটি ঘোষণা না করায় সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন কর্মজীবীরা। কর্মস্থলে পৌঁছতে তাদের গুনতে হচ্ছে বাড়তি অর্থ।
ঢাকার বিভিন্ন স্টপেজে গণপরিবহনের জন্য অনেক যাত্রীকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। আবার অনেকে গন্তব্যে যাবেন কিনা তা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ছিলেন।
বেসরকারি চাকরিজীবী মতিয়ার রহমান জানান, গণপরিবহন না থাকায় রবিবার সকালে আজিমপুরের বাসা থেকে গুলশান-১ এ কর্মস্থলে পৌঁছাতে সমস্যায় পড়তে হয়। কর্মস্থলে যেতে তার সাধারণত ৪০ থেকে ৪৫ টাকা খরচ হতো আর আজ গুনতে হয়েছে ১১০ টাকা।
মতিয়ার রহমানের মতো অনেকেই একই অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন।
এদিকে আন্দোলনকারীদের এখন শাহবাগ ও সায়েন্সল্যাবে অবস্থান করতে দেখা গেছে, তবে সেখানে কোনো পুলিশ সদস্যকে দেখা যায়নি।
যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান বলেন, ‘সকাল থেকে রাস্তায় কোনো বাস বা অন্য কোনো যানবাহন দেখা যায়নি। এমনকি চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালীসহ বিভিন্ন গন্তব্যের বাস ছাড়ার কথা থাকলেও যায়নি।
দারুস সালাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম জানান, ‘গাবতলী বাস স্টেশন থেকে কোনো যানবাহন ছেড়ে যায়নি। তবে শহরে লোকাল বাস সার্ভিস এখনও স্বাভাবিকভাবে চলছে।’
এর আগে শুক্রবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সমন্বয়ক রিফাত রাশেদ ও মাহিন তাদের ফেসবুক পেজে এই ‘অসহযোগ আন্দোলন’-এর ঘোষণা দেন।
—–ইউএনবি
আরও পড়ুন
গাজা যুদ্ধে ইসরাইলি সেনা নিহত বেড়ে ৮০০
শাকিবের ডাকে হাজির যেসব তারকা
ডেঙ্গুতে একদিনে ৫ মৃত্যু, হাসপাতালে ১০৩৪ রোগী