অনলাইন ডেস্ক :
সময়টা ছিল গত বছরের জুলাই মাস। ক্যারিয়ারের সেরা সময়ে থাকা অবস্থাতেই বাঁ হাঁটুতে চোট পান পেসার ইবাদত হোসেন। এরপর থেকেই খেলার বাইরে রয়েছেন। গত বছর আগস্টে ইংল্যান্ডে তার হাঁটুতে অস্ত্রোপচারও হয়েছে। পুনর্বাসনপ্রক্রিয়া শেষ করে তিনি স্কিল অনুশীলনে সময় ব্যয় করছেন। ইনজুরির কঠিন সময়টা পাড়ি দিয়ে ইবাদত এখন সামনের দিকে তাকিয়ে। বোলিংটা বেশ কিছু দিন আগে থেকেই শুরু করেছিলেন। একটু একটু করে স্বাভাবিক গতিতে বোলিং করছেন তিনি। গত এক বছরে ইনজুরির সাথে যুদ্ধ করে ফেরার অপেক্ষায় থাকা ইবাদত নিজের কঠিন সময়ের কথা এখন আর মনে করতে চান না।
মিরপুরে বুধবার (১৪ আগষ্ট) সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘সত্যি কথা অনেক কষ্টের সময় ছিল। এটা মনে করতে চাইও না এখন। ওই সময়টা এমন ছিল, সবসময় একা একা লাগতো। কারণ, আমি খেলোয়াড় হিসেবে সবসময় মাঠে থাকবো, খেলবো; এক তো হচ্ছে এই কষ্ট। দ্বিতীয়ত, আমি হাঁটতেই পারছি না। একটু বাইরে যাবো, কারো সঙ্গে দেখা করবো, কোনো সুযোগই ছিল না ওই সময়ে। এটা আসলে অনেক কষ্ট, সত্যি কথা এটা মনে করতে চাই না।’ নিজের বর্তমান অবস্থা নিয়ে ইবাদত বলেছেন, ‘আজকে একটু রানিং করলাম। ফিটনেসের কাজ করলাম, ব্যাটিং করছি, তারপর শেষে বোলিং করলাম।
বোলিং শুরু করেছি এক দেড় মাস হলো, বোলিং ইন্টেন্সিটি আগে ৭০-৮০% ছিল, ওভাবেই আছে এখন। ট্রেনার আমাকে একটা প্রোগ্রাম দিয়ে দিয়েছে শেষ দিকে এসে কী রকম বোলিং করা লাগে বা কী রকম ফিটনেস মেইনটেইন করা লাগে। ওইটাই ফলো করছি আপাতত। বোলিং ইন্টেন্সিটি ৮০% এর মতোই আছে। আশা করছি, দুই-তিন সপ্তাহের মধ্যে যেন ফুল ইন্টেন্সিটিতে বোলিং করতে পারি।’
পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট খেলতে বাংলাদেশ দল এখন পাকিস্তানে। এই সিরিজটাও মিস হয়ে গেলো টেস্টের অটো চয়েজ ইবাদতের। তবে তিনি তাকিয়ে ভারত সিরিজের দিকে। আগামী সেপ্টেম্বরে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ টেস্ট খেলবে। এই সিরিজকেই ফেরার মঞ্চ বানাতে চান ইবাদত, ‘আমার লক্ষ্য আছে যেন ভারতের সঙ্গে খেলতে পারি। ভারতে যেহেতু দুইটা টেস্ট ম্যাচ আছে। চেষ্টা করছি এর আগে যদি আমি টেস্ট ফিটনেসটা পেয়ে যাই। আমার কাছে মনে হয় একটা সুযোগ আছে ভারত সিরিজের আগে নিজেদের মধ্যে একটা ফোর ডে ম্যাচ খেলার, ওখানে সুযোগ পেলে জাজ করতে পারবো কতটুকু ফিট টেস্ট ম্যাচ খেলার জন্য।’
নিজের পুরো ছন্দ খুঁজে পাবেন কি না এর উত্তরে এবাদত বলেন, ‘এটা স্বাভাবিক এক বছর যেহেতু খেলার বাইরে। আমার বোলিংয়ে ছন্দটা একটা ফ্যাক্টর। চেষ্টা করছি বোলিংয়ের ছন্দ খুঁজে পেতে। যে ইন্টেন্সিটিতে বোলিং করছি, আমার কাছে অনেক ভালো লাগছে যে আমি আমার ছন্দটা খুঁজে পাচ্ছি। আরেকটা জিনিস হচ্ছে, এই সময়ে আমার সেকেন্ড স্কিল যেটা আছে, ব্যাটিং নিয়ে কাজ করছি। ফিল্ডিং নিয়েও কাজ করছি।’
আরও পড়ুন
মৌসুমসেরা ফুটবলারদের বাফুফের পুরস্কার
২৯ স্ট্রাইকরেট, ৩৩ গড়, নেই কোনো ছক্কা—ভারতীয় দলে এই খেলোয়াড় না থাকাতেই খুশি হ্যাজলউড
শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় ক্রীড়াঙ্গনে জাকারিয়া পিন্টুর শেষ বিদায়