এক সপ্তাহ ধরে খুলনা মহানগরীর কাঁচাবাজারসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারে অস্থিতিশীল পরিবেশ বিরাজ করছে। বাজার ভেদে একই পণ্য বিভিন্ন দামে বিক্রি হচ্ছে। ফলে ক্রেতারা বিশেষ করে নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা বাজার করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে।
খুলনা মহানগরীর দৌলতপুর, গললামারী, খালিশপুর, নতুনবাজার, সন্ধ্যাবাজার, বয়রাবাজার, মিস্ত্রীপাড়া বাজার, বানরগাতী বাজার সরেজমিনে দেখা গেছে, মাছের দাম বেড়েছে। পাশাপাশি পেঁয়াজ, আলু, রসুন, আদাসহ সব রকম মসলার দাম বেশি।
গত সপ্তাহের তুলনায় চলতি সপ্তাহে চালের দাম কেজি প্রতি ৪ থেকে ৫ টাকা বেশি। চিনি, সয়াবিন, তেল আগের দামে বিক্রি হচ্ছে।
তবে মাংসের দাম গত সপ্তাহের তুলনায় ১০০ টাকা কমেছে। গরুর মাংস গত সপ্তাহে যেখানে সাড়ে ৭০০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে, এখন গরুর মাংসের কেজি ৬৫০ টাকা। খাসির মাংস ৯৫০ টাকা। গত সপ্তাহের তুলনায় সবরকম মুরগি ও হাঁসের দাম কেজিপ্রতি ৫০ টাকা কমেছে।
সন্ধ্য বাজারে আসা ক্রেতা নাফিসা বেগম জানান, কাঁচা তরকারির দাম একেক বাজারে একেক রকম। বাজারে মাছের দাম মাংসের দামের চেয়ে বেশি।
বেসরকারি কলেজের শিক্ষক রবিউল জানান, ইলিশের ভরা মৌসুমেও বাজারে ইলিশের আকাল। ওজন ভেদে প্রতি কেজি ইলিশ ২৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ১৩০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সাধারণ মানুষের জন্য ইলিশ কেনা সম্ভব নয়।
বিউটি আক্তার বলেন, ‘এখন আর মাছ ও মাংসের কথা চিন্তা করতে পারি না। তবে ডিমের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমরা আরও বেশি হতাশ হয়ে পড়েছি। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ডাল ও চিনির দাম। এ অবস্থায় দরকার বাজার নিয়ন্ত্রণে সচেষ্ট হওয়া।
—-ইউএনবি
আরও পড়ুন
সেন্টমার্টিন ভ্রমণে নিবন্ধনসহ যা করতে হবে পর্যটকদের
জান্নাতে বাবা-মায়ের সাথে সন্তানরা যেভাবে মিলিত হবে
কিশমিশ-মনাক্কায় যত উপকার