নিজস্ব প্রতিবেদক
বিচারকদের কাছে কোটি টাকা দাবি করেছেন আইনজীবীরা এমন অভিযোগ রয়েছে রিট সংশ্লিষ্ট আইনজীবিদের বিরুদ্ধে। মিডিয়ার সহায়তা নিয়ে বিচারকদের বিভিন্নভাবে নাজেহাল করার হুমকি দিয়েছেন তারা। আইনজীবীদের এই চক্র বিচার বিভাগের অর্ধশতাধিক কর্মকর্তাকে টার্গেট করে মাঠে নেমেছেন। এই চক্রের সাথে আইন মন্ত্রণালয়ের কিছু কর্মকর্তা জড়িত রয়েছেন বলে জানা গেছে।
রিট পিটিশন (রিট পিটিশন নং ১৫৫৭০/২০২৪) দাখিলের আগে এই আইনজীবী জোবায়ের এন্ড এসোসিয়েট এর জুনিয়র সদস্য এডভোকেট মোহাম্মদ আলী হাছান ও ব্যবসায়ী আব্দুস সালাম আইন মন্ত্রণালয় ও দুদকসহ বিভিন্ন দপ্তরে জাস্টিজ ডিমান্ড নোটিশ প্রেরণ করেন।
একটি কল রেকর্ডে এডভোকেট মোহাম্মদ আলী বিচারককে বলতে শোনা যায়, এই ঘটনার সাথে মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা জড়িত রয়েছেন। কিন্তু ওই দাবির কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। তখন বিচারক আইনজীবীর কাছে ওই কর্মকর্তাদের নামধাম জানতে চান। কিন্তু আইনজীবী নেপথ্যে থাকা বিচারকের নাম জানাতে অস্বীকার করেন।
পরে বিচারককে বলতে শোনা যায়, যদি স্যারদের নাম জানতে পারতাম তাহলে হয়তো স্যারদের কাছে গিয়ে ভুল থাকলে ক্ষমা চাওয়া যেত। আসলে এমন মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগে অভিযুক্ত করে মিডিয়া ট্রায়ালে ফেলে বিচারকদের হেয়প্রতিপন্ন করে জনগণের কাছে বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করায় কার কী লাভ? আর আমাদের ক্ষতি করেই-বা কার কী লাভ? আমরা পরিবার-পরিজন, আত্মীয়স্বজন ও দেশবাসীর সামনে বিচার বিভাগের ইমেজ নষ্ট হচ্ছ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক বিচারক এই প্রতিবেদককে বলেন, পরিবর্তীত পরিস্থিতিতে এই চক্রের সাথে জড়িত আইনজীবীরা বিচারকদের কাছে বিভিন্ন অনৈতিক দাবি করে আসছিল। বিচারকরা এসব অনৈতিক দাবী আইনসঙ্গতভাবে পূরণ করতে না পারায় তারা ক্ষিপ্ত হয়।
এদিকে এ ঘটনায় বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস এসোসিয়েসন সভাপতি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো: জাকির হোসেন গালিব ও সাধারণ সম্পাদক সিনিয়র জেলা জজ মোহাম্মদ ফারুক এক বিজ্ঞপ্তিতে উদবেগ প্রকাশ করে বলেন, এ ধরণের কার্যক্রম বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি ও মর্যাদার জন্য ক্ষতিকর।
এসব বিষয়ে অভিযুক্ত আইনজীবী এডভোকেট মোহাম্মদ আলী হাছান এই প্রতিবেদককে বলেন, আমি আমার অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিয়েছি।
আরও পড়ুন
সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের কারণ উদঘাটনে তদন্ত কমিটি
অগ্নিকান্ডে মিঠাপুকুরের নয়ন একমাত্র উপার্জনকারীর মৃত্যুতে দিশেহারা পরিবার
ডেঙ্গুতে এক দিনে মারা গেছেন আরও ৪ জন