December 28, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Saturday, December 14th, 2024, 7:42 pm

সবজিতে স্বস্তি মিললেও লাগাম হীন মাছ মাংস

মাসুম বিল্লাহ ইমরান, খুলনা:
খুলনার বাজারে কিছুটা কমছে সবজির দাম। পেঁয়াজ, আলুর দামও গরু মুরগী ও মাছের দাম কোমার লক্ষন নাই ।  শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর ) মহানগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।নতুন বাজার, গল্লামারি বাজার, মিস্ত্রিপাড়া বাজার, জোড়াকল বাজার,  ময়লাপোতা সন্ধ্যা বাজার নিরালা, বাজার ও বয়রা বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি নতুন আলু ৭০ টাকা, পুরাতন আলু ৭৫ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৮০ থেকে ১০০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ৭০ টাকা, দেশি রসুন ২৬০ টাকা, চায়না রসুন ২৪০ টাকা, ফুলকপি ৪০-৪৫ টাকা, বাঁধাকপি ৪০ টাকা, শালগম ৪০-৪৫ টাকা, মুলা ২০-২৫ টাকা, শীতকালীন শীম ৪০ টাকা, বরবটি শিম ৫০ টাকা, কাঁচামরিচ ১০০ টাকা, বেগুন ৫০-৬০ টাকা, টমেটো ১০০ টাকা, ঝিঙে ৪০ টাকা, উস্তে ৮০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া ৫০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, লালশাক, পালং শাক, ঘিকাঞ্চন শাক ৪০-৪৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মাছ পাঙ্গাস ১৩০-১৪০ টাকা, ফাইসা ২৬০-৩০০ টাকা তেলাপিয়া ১৮০-২০০ টাকা, গ্লাস কার্প ১৬০-১৮০ টাকা, রুই ২০০-২৪০ টাকা কাতলা ২২০-৩০০ টাকা টেংরা ৪০০-৫০০ টাকা ইলিশ ছোট ৪৫০-৬৫০ টাকা, চাষের কৈ ১৮০-২০০ টাকা, গরুর গোস ৬৮০-৭০০ টাকা, খাসির গোস ৯৫০ – ১১০০ টাকা।

গৃহবধূ সাদিয়া রুমা  গল্লামারি বাজারে নিয়মিত আসেন। তিনি বলেন, এক সপ্তাহে ধরে সব সবজির  দামই কমেছে। ফুলকপি, শিম, সবজি কোনোটাই ৪০-৫০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে । জোরাকল  বাজারের সবজি বিক্রেতা মো: নুরে আলম  বলেন, শীতকালের অনেক শাক-সবজি উঠছে। এ সময় দাম কমে যায়। গত ১০- ১৫ দিনে সবজির দাম অর্ধেকে ।

মাছ বিক্রেতা শহীদ বলেন মাছ দক্ষিণ থেকে যতোবেশি খুলনায় ঢুকবে তত বেশি দাম কমবে  খোলায়  তো মাছই  পাওয়া যায় না  তাই দাম একটু বেশি।

নতুন বাজারে আসা ক্রেতা ইমাম হোসেন রহমান বলেন, এখন শীত মৌসুম। বাজারে শীতকালীন সবজির অনেক সরবরাহ। কিন্তু দাম আগের চেয়ে কমছে সবজির দাম । সেই সঙ্গে আলু পেঁয়াজের দামের অবস্থা ও আগের চেয়ে কম । মাছ মাংসের দাম একটু বৃদ্ধি। তবে সবজির বাজার ক্রেতার নাগালে থাকলে ভালো হয়  কৃষক কে ও তো বাঁচাতে হবে।

মুরগী বিক্রতা শহীদুল হাওলাদার বলেন আসলে মুরগীর খাবারের দাম বেশি হওয়ার কারণে আর দাম কমার লক্ষণ দেখছি না। আমরা ভাই যেমন কিনি তেমন বিক্রি করি।

গরুর গোস কিনতে আসা সোহেল বলেন ৬৫০ টাকা নির্ধারন করে দিলেও ৭০০ টাকায় কিনতে হচ্ছে শুক্রবার ছেলে বাহানা ধরছে তাই কিনতে হলো।