ছবি- সুস্থ থাকলেই জীবনকে পরিপূর্ণভাবে উপভোগ করা সম্ভব
অনলাইন ডেস্ক:
বর্ষবরণের সঙ্গেই স্বাস্থ্য সচেতনতার দিকেও কিন্তু নজর দেওয়া জরুরি। কারণ সুস্থ থাকার মাধ্যমেই জীবনকে পরিপূর্ণভাবে উপভোগ করা সম্ভব। বর্তমানে কর্মব্যস্ত জীবনে অনেকেই স্বাস্থ্যের প্রতি খেয়াল রাখেন না। ফলে গুরুতর ব্যাধি অনেকটাই অজান্তে শরীরে বাসা বাঁধে।
অনেক সময় নানা রোগের লক্ষণ দেখা গেলেও, ব্যস্ততার খাতিরে তা অবহেলা করেন অনেকেই। এতেই ঘটে বিপত্তি। তাই চিকিৎসকরা নিয়মিত চেকআপ করার পরামর্শ দেন। তাহলে অনেক গুরুতর রোগ সময়মতো শনাক্ত করা যায়। জেনে নিন, ২০২৫ সালে কোন স্বাস্থ্য পরীক্ষাগুলি করা উচিত-
উচ্চ রক্তচাপ
উচ্চ রক্তচাপ হলো একটি নীরব ঘাতক। এটি প্রায়শই কোনো লক্ষণ ছাড়াই ঘটে। এজন্য নিয়মিত রক্তচাপ পরীক্ষা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। উচ্চ রক্তচাপ হৃদরোগ, স্ট্রোক ও কিডনি রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
ব্লাড সুগার টেস্ট
এটি মূলত আপনার রক্তে চিনির মাত্রা পরিমাপ করে। এটি ডায়াবেটিস শনাক্ত করতে সাহায্য করে। ডায়াবেটিস একটি মারাত্মক রোগ। এটি সময়মতো ধরা না পড়লে শরীরের গুরত্বপূর্ণ সব অঙ্গ নষ্টের কারণ হতে পারে। তাই ডায়াবেটিস পরীক্ষা ও এটি নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি।
কোলেস্টেরল পরীক্ষা
কোলেস্টেরল রক্তে পাওয়া এক ধরনের চর্বি। উচ্চ কোলেস্টেরল হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই বছর শুরুতেই এই পরীক্ষা করিয়ে ফেলুন।
থাইরয়েড পরীক্ষা
থাইরয়েড গ্রন্থি আপনার শরীরের বিপাক নিয়ন্ত্রণ করে। থাইরয়েড সমস্যা অনেক ধরনের হতে পারে যেমন হাইপারথাইরয়েডিজম ও হাইপোথাইরয়েডিজম। এই সমস্যাগুলোর লক্ষণগুলোর মধ্যে আছে- ক্লান্তি, ওজন বেড়ে বা কমে যাওয়া, চুল পড়া ইত্যাদি।
সম্পূর্ণ রক্ত গণনা
এটি একটি সাধারণ পরীক্ষা। যা রক্তে লোহিত রক্তকণিকা, শ্বেত রক্তকণিকা ও প্লাটিলেটের সংখ্যা পরীক্ষা করে। এটি রক্ত স্বল্পতা, সংক্রমণ ও অন্যান্য অনেক রোগ শানাক্ত করতে সাহায্য করে।
বছর শুরুতেই স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট থেকে আপনি জানতে পারবেন জীবনধারায় কী কী উন্নতির প্রয়োজন। একই সঙ্গে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা আপনার শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে আরও সচেতন করে তুলবে। এছাড়া নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার মাধ্যমে অনেক গুরুতর রোগ সময়মতো ধরা পড়ে। ফলে সহজেই চিকিৎসা করা যায়।
আরও পড়ুন
শেষ ওভারে ৩ ছক্কা ৩ চার, ৩০ রান নিয়ে রংপুরকে জেতালেন নুরুল
দাবানলে পুড়ছে হলিউড হিলস
বিশেষ আদালতের এজলাস কক্ষ ভোর বেলায় আগুনে পুড়ে গেছে