কারা ফটকে ভিড় করেছেন স্বজনরা
নিজস্ব প্রতিবেদক:
দীর্ঘ ১৫ বছর পর কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পাচ্ছেন বিডিআরের ১৭৮ জওয়ান। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) ৪টি কারাগার থেকে তারা একে একে বের হচ্ছেন।
আজ ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ৪৩, কাশিমপুর-১ থেকে ২৭, কাশিমপুর-২ থেকে ৯৫ জন, কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি থেকে ১৫ জনসহ মোট ১৭৮ জনকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে।
এ তথ্য জানান কারা উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজন্স) মো. জাহাঙ্গীর কবির।
বেলা ১টা ২৫ মিনিটের দিকে কথা হয় কেন্দ্রীয় কারাগারের ডেপুটি জেলার আবু ইউসুফের সঙ্গে। তিনি জানান, কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকা বিডিআরের ৪৩ জনের কারামুক্তির কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে বেশ কয়েকজন বের হয়েছেন, বাকিরাও বের হবেন।
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ এর (গাজীপুর) সিনিয়র জেল সুপার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ-আল-মামুন জানান, সাড়ে ১২টার দিকে আমাদের কারাগারে থাকা বিডিআরের ২৭ জন কারামুক্ত হয়েছেন।
এর আগে গত ২১ জানুয়ারি ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মো. ইব্রাহিম মিয়ার আদালত জামিনপ্রাপ্ত ১৭৮ জন আসামির নাম প্রকাশ করেন।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদর দপ্তরে বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। সে ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়। হত্যা মামলায় ৮৫০ জনের বিচার শেষ হয় ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর। তাতে ১৫২ জনের ফাঁসি, ১৬০ জনের যাবজ্জীবন ও ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। খালাস পান ২৭৮ জন।
২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর সেই মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের রায়ও হয়ে যায় হাইকোর্টে। তাতে ১৩৯ আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়। যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হয় ১৮৫ জনকে। আরও ২২৮ জনকে দেওয়া হয় বিভিন্ন মেয়াদে সাজা। খালাস পান ২৮৩ জন। হাইকোর্টের রায়ের আগে ১৫ জনসহ সব মিলিয়ে ৫৪ জন আসামি মারা গেছেন। হত্যা মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে ২২৬ জন আসামি আপিল ও লিভ টু আপিল করেছেন।
কাশিমপুর-২ থেকে বিডিআরের ৮৯ জওয়ান মুক্তি পাবেন। তাদের বিষয়ে জানতে চাইলে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর (গাজীপুর) সিনিয়র জেল সুপার আল মামুন বলেন, সবাই এখনো বের হননি। ক্রমান্বয়ে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। শিগগির সবাই মুক্তি পাবেন।
আরও পড়ুন
পুতিনকে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প
রাজধানী ঢাকা ও এর আশেপাশের এলাকায় প্রতিনিয়ত বাড়ছে বিষাক্ত বাতাস
ক্লাইমেট অ্যান্ড নেচার বিষয়ক আলোচনায় বক্তব্য দেন ড. ইউনূস