নিজস্ব প্রতিবেদক:
সেই ১৯৯৭ সালে মুক্তি পায় রিয়াজ-আয়না জুটি অভিনীত গল্প-গানে অসাধারণ উপভোগ্য সুপারহিট ‘হৃদয়ের আয়না’ সিনেমা। ছবির ‘হৃদয়ের আয়না’ গানটিও বেশ আলোড়ন তুলেছিল সারাবাংলায়। এরপর এই নামকে উপজীব্য করে তৈরি হয়েছে বেশ কিছু গান।
তেমনি আরও একটি গান প্রকাশ হলো এ সময়ের কণ্ঠশিল্পী বর্ণালী সরকারের কণ্ঠে। সংস্কৃতি পরিবারে বেড়ে ওঠা এই শিল্পী এখন পুরোদমেই গানের সঙ্গে জীবন বেঁধেছেন। স্কুল-কলেজসহ ময়মনসিংহয়ের বিভিন্ন স্টেজে নিয়মিত পারফর্ম করেন তিনি। জনপ্রিয় অনেক গান কভার করে দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছেন।
প্রথমবারের মতো মৌলিক গান নিয়ে এলেন এই গায়িকা। এই গানেরই শিরোনাম ‘হৃদয়ের আয়না’। তার সঙ্গে দ্বৈতভাবে গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন সুরকার ও কণ্ঠশিল্পী এফ এ প্রিতম।
সালাউদ্দিন সাগরের কথায় গানটির সুর করেছেন এফ এ প্রিতম, সংগীতায়োজনে ছিলেন এস কে সাগর খান। গানের ভিডিওতে মডেল হয়েছেন আনান খান ও জয়া মির্জা। পরিচালনা করেছেন নোমান আরাফ।
গতকাল শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) ছিল বর্ণালী সরকারের জন্মদিন। এই দিনেই গানটি প্রকাশ হয়েছে ‘রিয়েল লিঙ্ক মিউজিক’ নামের ইউটিউব চ্যানেলে। গানটির প্রকাশনা উপলক্ষে এক আয়োজন করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন গীতিকবি আহমেদ রিজভী, চিত্রনায়িকা রুমানা ইসলাম মুক্তি, সংগীতশিল্পী মোমিন বিশ্বাস, রিয়েল লিঙ্করের কর্ণধার ও চলচ্চিত্র পরিচালক সায়মন তারিক, প্রযোজক-পরিচারক মো. ইকবালসহ আরও অনেকেই।
অনুষ্ঠানে নিজের ক্যারিয়ারের প্রথম মৌলিক গান নিয়ে বর্ণালী সরকার বলেন, ‘জন্মদিনে আমার প্রথম মৌলিক গান মুক্তি পেয়েছে- এটা খুব আনন্দের। সামনে আরও ভালো গান করতে চাই। ‘হৃদয়ের আয়না’ গানের কথাগুলো সুন্দর। আমরা চেষ্টা করেছি দর্শকদের সুন্দর একটি গান উপহার দেওয়ার। আশা করছি, গানটি সবার ভালো লাগবে।’
এফ এ প্রিতম বলেন, ‘বর্ণালী নতুন হিসেবে ভালো গেয়েছে। আশা করছি, ভালো সুযোগ পেলে ও আরও ভালো করবে। সবসময় ভালো কাজ করার চেষ্টা করি। গান গাওয়ার জন্য ঢাকায় এলেও কম্পোজার হিসেবে কাজ করছি। পাশাপাশি নিয়মিত গান করব।’
প্রকাশনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত সত্তর ও আশির দশকের আলোচিত কণ্ঠশিল্পী লিনু বিল্লাহ অনুজ বর্ণালী সরকারকে মৌলিক গানের শিল্পী হিসেবে নিজেকে সমৃদ্ধ করার প্রত্যাশায় শুভ কামনা জানান।
আরও পড়ুন
শেখ হাসিনা-জয়-পুতুলের বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলায় আরও ৭ জনের সাক্ষ্য
আজ থেকে নামের আগে ড. উপাধি যোগ করতে পারব: মিথিলা
আবারও ‘বাংলাদেশি’ সন্দেহে নাগরিকত্ব হারানোর ভয়ে আসামের হাজারো পরিবার