রংপুর ব্যূরো: সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নুরুজ্জমান আহমেদকে পাঁচ দিনের রিমান্ড পেয়েছে পুলিশ।
শুক্রবার সকাল পৌনে দশটার দিকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোস্তাফিজার রহমান মেট্রোপলিটন আমলী আদালত -৩ এর বিচারক দেবী রানীর আদালতে তুলে ১৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
নুরুজ্জমান আহমেদ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান মুন্না হত্যার ঘটনায় এজহার নামীয় আসামী। গত বছরের ২৯ আগস্ট রংপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোতোয়ালি আমলি আদালতে মামলাটি করেন মুন্নার বাবা আব্দুল মজিদ।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাত সোয়া নয়টার দিকে তাকে রংপুর নগরীর সেন্ট্রাল রোডের ডাকঘর এলাকায় অবস্থিত তার ভাই ওয়াহেদুজ্জামানের বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রংপুর থেকে গ্রেফতার সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামানকে মেডিকেল চেকআপের জন্য হাসপাতালে নেওয়া হলে ডিম নিক্ষেপ করে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা। এ সময় বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা।
এদিকে লালমনিরহাট জেলাতেও ৫ আগস্টের পর সাবেক মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের নামে আটটি মামলা হয়েছে বলে জানা গেছে। সকালে আদালতে তোলা হলেও পুলিশ এ নিয়ে কথা বলতে চাননি।তবে, আসামী পক্ষের আইনজীবী ইতফা আক্তার রিমান্ডের বিরোধীতা করে বলেন, মুন্না মারা গেছেন রংপুর আর আসামীর বাড়ি লালমনিরহাটে। তিনি এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন।
জানা গেছে, সাবেক এই মন্ত্রী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্রদের উপর হামলা নির্যাতনের নির্দেশ দিতেন। তার নির্দেশে রংপুর লালমনিরহাটে ছাত্র জনতার আন্দোলনে বর্বর হামলা চালানো হতো।
এর আগে একই মামলায় গত বছরের ২৭ অক্টোবর সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের ছোট ভাই শামসুজ্জামান আহমেদ ভুট্টুকে কালীগঞ্জ বাজার থেকে গ্রেপ্তার করে লালমনিরহাট জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।
এদিকে লালমনিরহাট জেলাতেও ৫ আগস্টের পর সাবেক মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের নামে আটটি মামলা হয়েছে বলে জানা গেছে।
গেল ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর আত্মগোপনে ছিলেন প্রতাপশালী এই মন্ত্রী।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মজিদ আলী বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলে হত্যাকান্ডের ঘটনায তার নামে হত্যা এবং হত্যা চেস্টা মামলা রয়েছে। বর্তমানে তিনি পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন।
আরও পড়ুন
রেড গাউনে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছেন পিয়া জান্নাতুল
কুমিল্লায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে ব্যক্তির মৃত্যু নিয়ে আইএসপিআরের বিবৃতি
প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব গ্রহণে যেভাবে রাজি হয়েছিলেন ড. ইউনূস