February 1, 2025

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Saturday, February 1st, 2025, 1:14 pm

ট্রাম্পের সহায়তা কার্যক্রম স্থগিত করার ঘোষণায় কোন দেশগুলো সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে

প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নিয়ে একের পর এক নির্বাহী আদেশ জারি করেন ডোনাল্ড ট্রাম্পফাইল ছবি: রয়টার্স

আল জাজিরা

অনলাইন ডেস্ক:
দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই ডোনাল্ড ট্রাম্প দেশটির প্রায় সব বিদেশি সহায়তা কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছেন। নিজের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ (যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ সবার আগে) নীতি কার্যকর করার অংশ হিসেবে তিনি এ উদ্যোগ নেন। এতে তাৎক্ষণিকভাবে দেশটির কোটি কোটি ডলারের বৈশ্বিক সহায়তা প্রদান স্থগিত হয়ে গেছে।

এক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস বলেন, ‘নিজ দেশের মানুষের জন্য কোনো ফিরতি পাওয়া না থাকলে যুক্তরাষ্ট্র আর অন্ধভাবে অর্থ বিতরণ করবে না—প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এটা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন।’ পরিশ্রমী করদাতাদের পক্ষে এমন বৈদেশিক সহায়তা কার্যক্রম পর্যালোচনা ও তা পুনর্বিন্যাস করা শুধু সঠিক কাজই নয়, এটি একটি নৈতিক বাধ্যবাধকতাও—যোগ করেন তিনি।

এককভাবে বিশ্বের শীর্ষ দাতা দেশের পক্ষ থেকে এমন ঘোষণা বিশ্বজুড়ে অনেকের মধ্যে আলোড়ন তৈরি করেছে। বিভিন্ন সহায়তা প্রতিষ্ঠানগুলোও সতর্ক করে বলেছে, ট্রাম্পের এ উদ্যোগ বিশ্বে অনেকের জীবন ঝুঁকিতে ফেলবে। ওয়াশিংটন ২০২৩ সালে প্রায় ১৮০টি দেশে ৭২ বিলিয়ন (৭ হাজার ২০০ কোটি) ডলারের সহায়তা বিতরণ করেছে।
এখন আগামী তিন মাসে (বৈদিশিক সহায়তা কার্যক্রম স্থগিত করার ৯০ দিনের মেয়াদে) মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এ কার্যক্রম ‘চালিয়ে যাওয়া, সংশোধন করা কিংবা বন্ধ করার’ বিষয়টি পর্যালোচনা করবেন ও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক নথিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এর মাঝেই গত শুক্রবার রুবিওর পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, উন্নয়ন, নিরাপত্তা সহায়তা আর অন্যান্য খাতে সহায়তা দেওয়া মার্কিন প্রকল্পগুলো বন্ধ করতে বিশ্বব্যাপী যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসগুলোয় বার্তা পাঠানো হয়েছে।
তবে যুদ্ধবিধ্বস্ত সুদানের মতো যেসব জায়গার মানুষেরা চরম দুর্ভিক্ষ ও ক্ষুধার সঙ্গে লড়ছেন, তাঁদের জন্য জরুরি খাদ্যসহায়তা কার্যক্রমকে ট্রাম্পের স্থগিতাদেশের বাইরে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র ইসরায়েল ও মিসরকে দেওয়া সামরিক সহায়তাও রাখা হয়েছে এর বাইরে।

বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের খবর, আরও বেশ কিছু সহায়তা কার্যক্রমকে স্থগিতাদেশের আওতার বাইরে রাখতে সম্মত হয়েছেন রুবিও। তিনি জীবন রক্ষাকারী ওষুধ ও খাদ্য সরবরাহ করা–সংশ্লিষ্ট মানবিক কর্মসূচির জন্য অস্থায়ী তহবিলের অনুমতি দিতে চান।

এ বিষয়ে ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর গ্লোবাল ডেভেলপমেন্টের জ্যেষ্ঠ ফেলো র‍্যাচেল বোনিফিল্ড বলেন, মার্কিন সহায়তা কার্যক্রমের ‘সবচেয়ে উৎসাহী সমর্থকও’ বুঝতে পারেন, সব কর্মসূচি ভালোভাবে কাজ করে না এবং এগুলো বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে। তবে আকস্মিক ওই স্থগিতাদেশ বৈদেশিক সহায়তার ওপর নির্ভর করে থাকা মানুষকে ‘চরম সংকটে’ ফেলেছে এবং এর ফলে অনেকে মারাও যেতে পারেন, এমনটাই বলছিলেন বোনিফিল্ড।

কোন দেশে কত সহায়তা
যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ২০২৩ সালে দেওয়া বিদেশি সহায়তা তহবিলের খতিয়ানে দেখা যায়, বড় অংশই অর্থনৈতিক সহায়তা হিসেবে দেওয়া হয়েছে। এর পরিমাণ প্রায় ৫৯ দশমিক ৯ বিলিয়ন (প্রায় ৫ হাজার ৯৯০ কোটি) ডলার। এর মধ্যে ইউক্রেন একাই প্রায় ১৪ দশমিক ৪ বিলিয়ন (১ হাজার ৪৪০ কোটি) ডলারের সহায়তা পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডির কাছ থেকে।

ইউক্রেনের পর সবচেয়ে বেশি অর্থনৈতিক সহায়তা পেয়েছে জর্ডান। ইউএসএআইডির মাধ্যমে পাওয়া এই সহায়তার পরিমাণ প্রায় ৭৭০ মিলিয়ন (৭৭ কোটি) ডলার। ইয়েমেন সহায়তা পেয়েছে ৩৫৯ দশমিক ৯ মিলিয়ন (৩৫ কোটি ৯৯ লাখ) ডলারের। আফগানিস্তানের জুটেছে ৩৩২ মিলিয়ন (৩৩ কোটি ২০ লাখ) ডলারের সহায়তা।

পেন্টাগন ও ইউএসএআইডিসহ মার্কিন কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের মারফত সহায়তার এসব অর্থ বিতরণ করা হয়েছে। এ সময়ে অর্থনৈতিক সহায়তা হিসেবে সবচেয়ে বেশি ১৯ বিলিয়ন (১ হাজার ৯০০ কোটি) ডলার বিতরণ করেছে ওয়াশিংটন। স্বাস্থ্যসেবায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৬ বিলিয়ন (১ হাজার ৬০০ কোটি) ডলার বিতরণ করা হয়েছে। মানবিক সহায়তায় বিতরণ করা হয়েছে ১৫ দশমিক ৬ বিলিয়ন (১ হাজার ৫৬০ কোটি) ডলার।

এসব সহায়তার পাশাপাশি একই বছর যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন বিভিন্ন মিত্র দেশকে ৮ দশমিক ২ বিলিয়ন (৮২০ কোটি) ডলারের সামরিক সহায়তা দিয়েছে। এর প্রায় অর্ধেকই পেয়েছে ইসরায়েল ও মিসর।
ইসরায়েল–মিসর কত পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন ২০২৮ সাল পর্যন্ত প্রতিবছর ইসরায়েলকে ৩ দশমিক ৮ বিলিয়ন (৩৮০ কোটি) ডলার করে সামরিক সহায়তা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার আমলে ইসরায়েলের সঙ্গে সই করা এক সমঝোতা স্মারকে এ প্রতিশ্রুতি দিয়ে রেখেছে ওয়াশিংটন।
এ সামরিক সহায়তার পাশাপাশি ফিলিস্তিনের গাজায় ভয়ংকর যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার পর ইসরায়েলকে আরও ১৭ দশমিক ৯ বিলিয়ন (১ হাজার ৭৯০ কোটি) ডলারের অতিরিক্ত সামরিক সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘কস্ট অব ওয়ার’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে এটা জানানো হয়।

১৯৪৮ সালে ইসরায়েল রাষ্ট্রের জন্ম। এর পর থেকে দেশটিকে প্রায় ১২০ বিলিয়ন বা ১২ হাজার কোটি ডলারের সামরিক সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গ্রহীতা মিসর। ১৯৭৮ সালে দুই দেশের মধ্যে ক্যাম্প ডেভিড চুক্তি সই হওয়ার পর থেকে মিসরকে প্রায় ১ দশমিক ২ বিলিয়ন বা ১২০ কোটি ডলারের সামরিক সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আরব দেশগুলোর মধ্যে ওয়াশিংটনের ঘনিষ্ঠ মিত্র মিসর প্রথম ইসরায়েল রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিয়েছে। ক্যাম্প ডেভিড চুক্তি সইয়ের পর থেকে মিসরকে অর্থনৈতিক সহায়তাও দিয়ে আসছে ওয়াশিংটন।

ঝুঁকিতে যে কর্মসূচি
এইডস প্রতিরোধে ২০০৩ সালে প্রেসিডেন্ট’স ইমার্জেন্সি প্ল্যান ফর এইডস রিলিফ (পিইপিএফএআর) চালু করা হয়েছিল। এর পর থেকে এ কর্মসূচি প্রায় ১২০ বিলিয়ন (১২ হাজার কোটি) ডলারের তহবিল পেয়েছে। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের আমলে চালু হওয়া এ প্রকল্পকে স্বাস্থ্যসেবায় বিশ্বের সবচেয়ে বড় কর্মসূচি বলা হয়ে থাকে। এর আওতায় অন্তত ৫০টি দেশের প্রায় আড়াই কোটি মানুষের জীবন বাঁচানো সম্ভব হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৫৫ লাখ শিশু। এখন ট্রাম্পের সহায়তা কার্যক্রম স্থগিতের ঘোষণায় ক্ষতিগ্রস্ত হবে পিইপিএফএআর কর্মসূচিও।

এইডস নিয়ে গবেষণায় যুক্ত ফাউন্ডেশন এএমএফএআর বলছে, স্বাস্থ্যসেবায় বিশ্বের সবচেয়ে বড় কর্মসূচি স্থগিত হওয়ায় বিশ্বের হাজারো মানুষ তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর ও জীবন রক্ষাকারী এইচআইভি চিকিৎসা এবং অন্যান্য সেবা থেকে বঞ্চিত হবেন। আফ্রিকা মহাদেশের ঘানা, মোজাম্বিক ও দক্ষিণ আফ্রিকায় এইডস এবং যক্ষ্মা নিয়ে গবেষণায় নিয়োজিত অলাভজনক প্রতিষ্ঠান অরাম ইনস্টিটিউট বলেছে, তারা মার্কিন অর্থায়নে পরিচালিত প্রকল্পগুলো গুটিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে সুবিধাভোগীদের বলা হয়েছে, ‘আপনারা যে অনিশ্চয়তার সম্মুখীন হচ্ছেন, সেটা আমরা স্বীকার করছি এবং অসুবিধার জন্য আন্তরিক ক্ষমা চাইছি। চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অন্যান্য অংশীদারকে সঙ্গে নিয়ে সমাধানের পথ খুঁজতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

যেসব প্রতিক্রিয়া এসেছে
বিদেশি সহায়তা কার্যক্রম স্থগিত করে ট্রাম্পের নির্দেশের কড়া সমালোচনা করেছে জাতিসংঘ আর মানবিক সহায়তা প্রদানকারী সংস্থাগুলো। কেউ কেউ উদ্ভূত পরিস্থিতি সামলাতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে। কেউবা আবার দ্রুত খরচ কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে। জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্রান্দি নিজ প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের একটি ই–মেইল পাঠিয়েছেন। এতে তিনি ব্যয়ের ওপর তাৎক্ষণিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘আগামী কয়েক সপ্তাহ আমাদের খুব সাবধানে এগোতে হবে; যাতে শরণার্থী ও বাস্তুচ্যুত লোকজন, আমাদের কার্যক্রম এবং আমাদের দলের ওপর তহবিল স্থগিতের অনিশ্চয়তার প্রভাব কমানো যায়।’

জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশন (ইউএনএইচসিআর) জানিয়েছে, প্রতিষ্ঠানটি গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে বিশ্বের অন্তত ১০০টি দেশের প্রায় ১২ কোটি ১০ লাখ মানুষের জীবন বাঁচানোর জন্য ২ দশমিক ৪৯ বিলিয়ন (২৪৯ কোটি) ডলারের তহবিল পেয়েছে। অক্সফাম, যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান আবে ম্যাক্সম্যান গত সপ্তাহে এক বিবৃতিতে বলেছেন, বিদেশি সহায়তা কার্যক্রম স্থগিত করে ট্রাম্পের নির্দেশ বিশ্বজুড়ে অনেক পরিবারের জন্য জীবন-মৃত্যুর পরিণতি ডেকে আনতে পারে।

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসও গত সোমবার ‘বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা মানুষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন ও মানবিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে অতিরিক্ত ছাড় দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় নিতে’ ট্রাম্প প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। এপির প্রতিবেদনের তথ্য, এরই মধ্যে ইউএসএআইডির কমপক্ষে ৫৬ জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে বলে প্রতিষ্ঠানটির একজন সাবেক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে জানিয়েছেন। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানটির বৈশ্বিক স্বাস্থ্য ব্যুরোয় কর্মরত অন্তত ৬০ জনকে ছুটি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম পলিটিকো।

ফ্লোরিডার রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান ও মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের বৈদেশিক সম্পর্কবিষয়ক কমিটির নতুন চেয়ারম্যান ব্রায়ান মাস্ট বলেন, বিদেশি সহায়তা কার্যক্রম স্থগিত করাটা প্রয়োজনীয় ছিল। মাস্টের মতে, এসব বরাদ্দ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পররাষ্ট্রনীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কি না, সেটি নিশ্চিত করতে এ স্থগিতাদেশের দরকার ছিল।

সেন্টার ফর গ্লোবাল ডেভেলপমেন্টের জ্যেষ্ঠ ফেলো র‍্যাচেল বোনিফিল্ড আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘পর্যালোচনা শেষে ৯৯ শতাংশ কর্মসূচি আবারও চালু কিংবা ব্যাপকভাবে পুনর্বিন্যাস করা হতে পারে। এ মুহূর্তে আমরা সত্যি জানি না, আসলে কী হতে যাচ্ছে।’ আল–জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত আগস্টে গণ–অভ্যুত্থানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারকে উৎখাতের পর বাংলাদেশ যখন ক্ষত কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে, তখন এই স্থগিতাদেশ দেশটির মার্কিন সহায়তার ওপরও প্রভাব ফেলেছে। র‍্যাচেল বোনিফিল্ড বলেন, ট্রাম্পের স্থগিতাদেশ শেষ পর্যন্ত মার্কিন সহায়তা কার্যক্রম নিয়ে অন্যান্য দেশের সঙ্গে সম্পর্কেও পরিবর্তন আনতে পারে।