চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৩৫১ রান তুলে টুর্নামেন্টটিতে দলীয় সর্বোচ্চ রানের ইতিহাস গড়েছিল ইংল্যান্ড। শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে প্রথম দল হিসেবে সাড়ে তিনশ ছাড়ানো ইনিংস খেলে ইংলিশরা। যে ম্যাচে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের ইনিংসও উপহার দেন ইংলিশ ব্যাটার বেন ডাকেট।
ঘণ্টা চারেক আগে দলীয় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়ার পর সর্বোচ্চ রান করেও হারার লজ্জার রেকর্ড সঙ্গী হলো জশ বাটলারের দলের। তাদের দেয়া ৩৫২ রানের লক্ষ্য ১৫ বল ও ৫ উইকেট হাতে রেখে টপকে গেছে (৩৫৬ রান) অজিরা। যেখানে ডাকেটের সেঞ্চুরির জবাব দিয়েছেন জশ ইংলিস। এই অজি ব্যাটার ৮৬ বলে অপরাজিত ১২০ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেছেন। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ৬টি ছক্কা ও ৮ চারে।
এই জয়ে বেশ কয়েকটি বিশ্বরেকর্ড দেখেছে ক্রিকেট বিশ্ব। অস্ট্রেলিয়ার ৩৫৬ রান চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ইতিহাসে দলীয় সর্বোচ্চ। রান তাড়ায়ও সর্বোচ্চ। এই জয়ের মাধ্যমে আইসিসির ওয়ানডে প্রতিযোগিতায় (বিশ্বকাপ ও চ্যাম্পিয়নস ট্রফি) সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড নিজেদের নামে লেখালো অজিরা। শুধু বিশ্বরেকর্ড নয়, এর বাইরেও কিছু রেকর্ড গড়েছে অজিরা। এই ম্যাচে নিজেদের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড গড়লো অস্ট্রেলিয়া। আগের রেকর্ড ৩৫৬ রান। ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড এটি। এর বাইরে, পাকিস্তানের মাটিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ডও হয়েছে এই ম্যাচে।
ইংল্যান্ডের দেয়া ৩৫২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি অস্ট্রেলিয়ার। পাওয়ার প্লেতে সাজঘরে ফিরে যান ‘ডেঞ্জারম্যান’ ট্রাভিস হেড ও স্টিভেন স্মিথ। হেড যখন সাজঘরে ফেরেন (৬ রানে) তখন অজিদের সংগ্রহ মাত্র ২১। স্মিথ ফেরার সময় দলীয় রাজ ২৭।
এরপর ওপেনার ম্যাথু শর্ট ও লাবুশানে জুটিতে প্রতিরোধ গড়ে অজিরা। ব্যক্তিগত অর্ধশতক থেকে ৩ রান দূরে থাকতে লাবুশানেকে সাজঘরে ফিরিয়ে ৯৫ রানের এই জুটি ভাঙেন আদিল রশিদ। এই জুটি ভাঙাার পর অর্ধশতক পাওয়া ওপেনার শর্টও বেশিক্ষণ ক্রিজে স্থায়ী হতে পারেননি। তিনি ব্যক্তিগত ৬৩ রানে লিভিংস্টোনের বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। তখন অস্ট্রেলিয়ার রান ১৩৬, জয় থেকে ২১৬ রান দূরে। তখন মনে হচ্ছিল, সহজ জয়ই পাবে ইংলিশরা। তবে এরপরই ধীরে ধীরে পাল্টাতে থাকে ম্যাচের দৃশ্য পট।
উইকেট ধরে রাখার পাশাপাশি রান রেটের চাপ সামলে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন জশ ইংলিস ও অ্যালেক্স ক্যারি জুটি। ধীরে ধীরে হাত খুলে মারতে থাকেন এই দুই ব্যাটার। তাদের ১১৬ বলে ১৪৬ রানের জুটিতে জয়ে স্বপ্ন টিকে থাকে অজিদের। ব্যক্তিগত ৬৯ রানে ক্যাচ দিয়ে ক্যারি সাজঘরে ফিরলে আবারও কিছুটা ভয় তৈরি হয় অজি শিবিরে। তবে শেষ দিকে ম্যাক্সওয়েল ও ইংলিসের ঝড়ে ১৫ বল বাকি থাকতেই রেকর্ড জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে অস্ট্রেলিয়া। ৩৬ বেল ৭৪ রানে অবিচ্ছিন্ন থাকে ইংলিস-ম্যাক্সওয়েল জুটি। ম্যাক্সি ১৫ বলে চারটি চার ও দুই ছক্কায় অপরাজিত থাকেন ৩২ রানে। ইংলিসের ১২০ রানের ইনিংসটি তার আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম শতক। এই ইনিংসের সুবাদে অবধারিতভাবেই তার হাতে উঠেছে ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
আরও পড়ুন
শিশুদের রোজা রাখতে আগ্রহী করবেন যেভাবে
ভাতের সঙ্গে কাঁচা লবণ খেলে হতে পারে যে ক্ষতি
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের উদ্দেশে কুয়েট শিক্ষার্থীরা