সংগৃহীত ছবি
অনলাইন ডেস্ক:
জার্মানির জাতীয় নির্বাচনে জয়ের মাধ্যমে ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়নের নেতা ফ্রিডরিখ মেৎস দেশটির পরবর্তী চ্যান্সেলর হতে যাচ্ছেন। যদিও কোনো দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় জোট সরকার গঠন করতে হবে। তবে এরই মধ্যে জার্মানিতে রক্ষণশীলদের উত্থানের প্রশংসা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
বিবিসির খবরে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মেৎসের জয়কে স্বাগত জানিয়েছেন।
রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতোই জার্মানির জনগণ এত বছর ধরে প্রচলিত সাধারণ এজেন্ডা বিহীন, বিশেষ করে জ্বালানি এবং অভিবাসন বিষয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। জার্মানির জন্য আজ একটি ঐতিহাসিক দিন।’ জয়ের পর উল্লাসরত সমর্থকদের উদ্দেশ্যে মেৎস তার অর্পিত দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন বলে জানান। তিনি বলেন, ‘চলুন আজ রাত উদযাপন করি এবং সকালে আমরা কাজে যাবো’।
এই নির্বাচনে আরেকটি জয়ী পক্ষ হলো কট্টর ডানপন্থী অলটারনেটিভ ফর জার্মানি বা এএফডি। তারা ২০ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে। এএফডির চ্যান্সেলর প্রার্থী অ্যালিস ভাইডেল সমর্থকদের নিয়ে বিজয়োল্লাস করেছেন। যদিও তার দল আরো ভালো ফল আশা করেছিল।
গত বছর ওলাফ শোলেৎজের তিন দলীয় কোয়ালিশন ভেঙে যাওয়ার পর মেৎস ভোটারদের কাছে একটি শক্ত ম্যান্ডেট প্রত্যাশা করেছিলেন যাতে আরেকটি দল নিয়ে তিনি একটি পরিষ্কার কোয়ালিশন সরকার গঠন করতে পারেন। তিনি মনে করেন, এটি তাকে আগামী চার বছরে থমকে পড়া অর্থনীতি থেকে শুরু করে সীমান্তে অবৈধ অভিবাসনসহ জার্মানির অনেক সমস্যার সমাধান করতে সহায়তা করতো। তবে জার্মান ভোটাররা ভিন্ন রকম ভেবেছে। তারা এবার বিপুল সংখ্যায় ভোট দিয়েছে। এবার ৮৩ শতাংশ মানুষ ভোট দিয়েছে, যা ১৯৯০ সালে জার্মান পুনঃএকত্রীকরণের পর আর দেখা যায়নি।
মেৎসের ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্র্যাটরা ২৮ দশমিক ৬ শতাংশের বেশি ভোট আশা করেছিল। তিনি এএফডির সঙ্গে কাজ করার সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন। তবে মেৎসের সবচেয়ে সম্ভাব্য পার্টনার সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটরা নির্বাচনে সবচেয়ে খারাপ ফল করেছে। তাদের ভোটের পরিমাণ ১৬ দশমিক ৪ শতাংশ।
দলটির নেতা বিদায়ী চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ বলেছেন, নির্বাচনের ফল তাদের জন্য তিক্ত পরাজয় নিয়ে এসেছে এবং তিনি কোয়ালিশন সরকার গঠনের বিষয়ে কোনো আলোচনায় অংশ নেবেন না। প্রাথমিকভাবে অনেকে ধারণা করেছিলেন যে কোয়ালিশন সরকার গঠনের জন্য এই দুই দলই যথেষ্ট হবে। গত চার বছর একটি তিন দলীয় কোয়ালিশন সরকার দেখেছে জার্মানি। সেখানকার আরেকটি দল গ্রিন। উনসত্তর বছর বয়সী মেৎস কখনো মন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেননি। তবে তিনি অঙ্গীকার করেছেন যে তিনি পরবর্তী জার্মান চ্যান্সেলর হলে ইউরোপকে তার নেতৃত্ব দেখাবেন এবং ইউক্রেনের জন্য সমর্থন বাড়াবেন।
আরও পড়ুন
পদত্যাগ করলেন নাহিদ ইসলাম
শান্তির আহ্বানের অর্থ ইউক্রেনের ‘আত্মসমর্পণ’ নয়, ট্রাম্পকে মাখোঁর সতর্কবার্তা
জননিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে ৫ টায় বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক