February 25, 2025

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Tuesday, February 25th, 2025, 1:38 pm

রমজান মাসের প্রাণ যে তিন আমল

প্রতীকী ছবি :
পবিত্র রমজান মাস অন্য মাসের থেকে ফজিলত ও মাহাত্ম্যপূর্ণ তিন বিশেষ কারণে। এই তিনটি কারণই মাসটিকে অন্য মাস থেকে আলাদা করেছে। এখানে তুলে ধরা হলো—

রোজা
সিয়াম বা রোজা পবিত্র রমজান মাসের বিশেষ মাহাত্ম্যপূর্ণ আমল। এই আমলটিই এই মাসকে অন্য সব মাসের তুলনায় ভিন্ন মর্যাদা দিয়েছে। সারা বছর শাওয়াল, আরাফার দিন, আশুরা, প্রতি সপ্তাহ ও মাসে বিভিন্ন নফল রোজা থাকলেও ফরজ করা হয়েছে পবিত্র রমজানের রোজা। এই রোজা প্রত্যেক প্রাপ্ত বয়স্ক নারী পুরুষের জন্য ফরজ করেছেন আল্লাহ তায়ালা।

পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে—

হে মুমিনগণ, তোমাদের উপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেভাবে ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর। যাতে তোমরা তাকওয়া অবলম্বন কর। নির্দিষ্ট কয়েক দিন। তবে তোমাদের মধ্যে যে অসুস্থ হবে, কিংবা সফরে থাকবে, তাহলে অন্যান্য দিনে সংখ্যা পূরণ করে নেবে। আর যাদের জন্য তা কষ্টকর হবে, তাদের কর্তব্য ফিদয়া- একজন দরিদ্রকে খাবার প্রদান করা। অতএব যে স্বেচ্ছায় অতিরিক্ত সৎকাজ করবে, তা তার জন্য কল্যাণকর হবে। আর সিয়াম পালন তোমাদের জন্য কল্যাণকর, যদি তোমরা জান। (সূরা বাকারা, আয়াত : ১৮৩-১৮৪)

কোরআন
রমজান মাসকে বলা হয় কোরআন নাজিলের মাস। এই মাসের প্রাণ কোরআন তিলাওয়াত। রাসূল সা. ও সাহাবিরা পুরো রমজান মাস কোরআন তিলাওয়াতে কাটাতেন। পূর্ববর্তী ও বর্তমান সময়ের মুসলিম মনীষীরাও কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে কাটান এই মাসটি।

রমজান মাসে কোরআন নাজিলের বিষয়ে বর্ণিত হয়েছে—

রমজান মাস, এ মাসে কোরআন নাজিল করা হয়েছে মানুষের জন্য হিদায়াতস্বরূপ এবং হিদায়াতের সুস্পষ্ট নিদর্শনাবলী ও সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারীরূপে। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যে মাসটিতে উপস্থিত হবে, সে যেন তাতে সিয়াম পালন করে। আর যে অসুস্থ হবে অথবা সফরে থাকবে তবে অন্যান্য দিবসে সংখ্যা পূরণ করে নেবে। আল্লাহ তোমাদের সহজ চান এবং কঠিন চান না। আর যাতে তোমরা সংখ্যা পূরণ কর এবং তিনি তোমাদেরকে যে হিদায়াত দিয়েছেন, তার জন্য আল্লাহর বড়ত্ব ঘোষণা কর এবং যাতে তোমরা শোকর কর। (সূরা বাকারা, আয়াত : ১৮৫)

লাইলাতুল কদর
রমজান মাসের বিশেষ মাহাত্ম্য এবং ফজিলত লাইলাতুল কদর। লাইলাতুল কদরে আল্লাহ তায়ালা কোরআন নাজিল করেছেন এবং এই রাতটি হাজার মাস ইবাদতের থেকে উত্তম। পবিত্র কোরআনে কদর নামে একটি সূরা নাজিল হয়েছে।

পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে—

নিশ্চয়ই আমি এটা (অর্থাৎ কোরআন) শবে কদরে নাজিল করেছি। তুমি কি জান শবে কদর কী? শবে কদর এক হাজার মাস অপেক্ষাও শ্রেষ্ঠ। সে রাতে ফেরেশতাগণ ও রূহ প্রত্যেক কাজে তাদের প্রতিপালকের অনুমতিক্রমে অবতীর্ণ হয়। সে রাত (আদ্যোপান্ত) শান্তি ফজরের আবির্ভাব পর্যন্ত। (সূরা কদর, আয়াত : ১-৫)

আম্মাজান হজরত আয়েশা সিদ্দিকা রা. বলেন, আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ করতেন এবং বলতেন, তোমরা রমজানের শেষ দশকে লাইলাতুল কদর অনুসন্ধান কর। (বুখারী, ২০২০)