অনলাইন ডেস্ক:
শীত প্রায় শেষ, বলা যায় গরমও চলে এসেছে। সূর্যের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া জানান দিচ্ছে তারই। অনেকেই এরই মধ্যে এসি চালাতে শুরু করেছেন। অনেকসময় দেখা যায় দীর্ঘসময় এসি চালিয়েও ঘর ঠান্ডা হচ্ছে না। এসির সঙ্গে সিলিং ফ্যানও চালিয়ে রাখেন ঘরে।
তবে এতে বিদ্যুৎ বিল বেশি আসাই স্বাভাবিক। তবে ঘটে এর উল্টো। সিলিং ফ্যান ঘরের প্রতিটি কোণে শীতল বাতাস সঞ্চালন করে। এমন পরিস্থিতিতে খুব বেশি এসি চালানোরও দরকার পরে না। কিন্তু ঘর থেকে ঠান্ডা বাতাস যাতে বেরিয়ে না যায় সেজন্য সব জানালা এবং দরজা বন্ধ রাখা জরুরি। আসলে এসির সঙ্গে ফ্যান ব্যবহার করলে আদতে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ও হয়।
যারা এই বাস্তব বিষয়টির সঙ্গে খুব একটা পরিচিত নন, তারা এটা না জেনে ফ্যান চালু করার সময় এসি বন্ধ রাখেন বা এসি চালু থাকলে ফ্যান চালান না। কিন্তু তারা জানেন না যে তারা দুটি একসঙ্গে চালু রাখলেই বেশি লাভ করতে পারবেন।
শুধু এজন্য, এসিতে তাপমাত্রা ২৪ থেকে ২৬ এর মধ্যে সেট করতে হবে এবং ফ্যানের গতি সর্বনিম্ন রাখতে হবে। এটি করলেই ঘর দ্রুত ঠান্ডা হবে। আবার বিদ্যুৎ বিল থাকবে কন্ট্রোলে। একটি পাখা বা ফ্যান পুরো ঘরের বাতাস সঞ্চালন করে। এতে ঘর দ্রুত ঠান্ডা হয়ে যায়। বিদ্যুৎ সাশ্রয় করে। একইসঙ্গে খরচও কম হবে।
ধরুন, ৬ ঘণ্টা এসি ব্যবহার করলে ১২ ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ হবে। কিন্তু যদি আপনি এসির সঙ্গে একটি ফ্যান চালান, তাহলে মাত্র ৬ ইউনিট খরচ হবে।
এর ফলে এসি ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ খরচ সাশ্রয় হবে। কিন্তু বিদ্যুতের এই খরচের হিসাব অনেকেই জানেন না। আজকাল, সবার বাড়িতেই এসি আছে। তাই পুরোদমে গরম আসার আগেই এটি জেনে নেওয়া জরুরি।
আরও পড়ুন
লর্ডসে হবে আসন্ন নারী টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল
উত্তেজনার মধ্যেই নিজেদের ঝালিয়ে নিচ্ছে পাকিস্তান
দেশি মুরগির ব্র্যান্ড গ্রামীণ প্রোটিন-এর যাত্রা শুরু