লাইফস্টাইল ডেস্ক:
সারাদিন রোজা রাখার পর ইফতার এবং সেহরির খাবার আমাদের শরীরের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক খাবার খেলে শরীর ভালো থাকে, কিন্তু কিছু খাবার পেটকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। বিশেষ করে রোজায় পেটের অস্বস্তি কমানো ও সুস্থ থাকা খুবই প্রয়োজন। তবে আমরা অনেকেই জানি না কোন ধরনের খাবার আমাদের পেট ঠান্ডা রাখতে সহায়তা করে।
রমজানে পেট ঠান্ডা রাখার জন্য সেরা পাঁচটি খাবারের তালিকা দেওয়া হলো, যা আপনার শরীরের সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য করবে।
পানি ও তাজা ফলের রস
রমজানে পেট ঠান্ডা রাখার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপায় হলো পর্যাপ্ত পানি পান করা। সারাদিন অনাহারে থাকার কারণে শরীরে পানির অভাব হয়, যা পেটের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। ইফতার ও সেহরির সময় পানি ও তাজা ফলের রস (কমলা, তরমুজ, আনারস বা বেদানা ইত্যাদি) আপনার পেটকে ঠান্ডা এবং শরীরকে সতেজ করবে। এই ফলগুলোতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে, যা শরীরকে সতেজ রাখতে সাহায্য করে।
দই
দই আমাদের পেটের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি খাবার। এতে ল্যাক্টো-ব্যাকিলাস ও প্রোবায়োটিক উপাদান থাকে, যা হজম প্রক্রিয়াকে সহজ করে এবং পেটকে ঠান্ডা রাখে। ইফতার বা সেহরিতে দই খাওয়ার মাধ্যমে পেটের এসিডিটি কমানো এবং শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
কুমড়ো ও শসা
রোজায় পেট ঠান্ডা রাখার জন্য আদর্শ খাবার কুমড়ো ও শসা। এই সবজিগুলোতে প্রচুর পরিমাণে পানি থাকে, যা পেটকে শীতল ও হাইড্রেটেড রাখে। শসায় রয়েছে তাজা রস, যা পেটের গরম কমাতে সাহায্য করে। আপনি কুমড়ো বা শসার সালাদ বানিয়ে খেতে পারেন।
মাছ
মাছ একটি প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। মাছের মধ্যে থাকা ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড পেটের ভেতরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ইফতার বা সেহরিতে মাছের সুপ, ভাপ বা গ্রিলড মাছ খাবেন, যা পেট ঠান্ডা রাখবে এবং শরীরে শক্তি জোগাবে।
অলিভ অয়েল
অলিভ অয়েল প্রাকৃতিকভাবে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং হজম প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে। আপনি অলিভ অয়েল ব্যবহার করে সালাদ বা ভেজিটেবল সুপ তৈরি করতে পারেন। এটি পেটের অস্বস্তি এবং এসিডিটির সমস্যা কমাতে সহায়তা করবে।সর্বোপরি রমজানে পেট ঠান্ডা রাখার জন্য সঠিক খাবার নির্বাচন করা অত্যন্ত জরুরি। পানি, তাজা ফল, দই, শসা, মাছ এবং অলিভ অয়েল খেলে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং পেটও ঠান্ডা থাকে। এই খাবারগুলো আপনাকে রোজায় শরীর এবং মন সতেজ রাখতে সাহায্য করবে। তবে যে কোনো খাবারই অতিরিক্ত পরিমাণে না খাওয়া ভালো। বিশেষ করে রোজায় খাবারের পরিমাণ সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করা উচিত।
আরও পড়ুন
পুলিশের ওপর হামলায় পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের নিন্দা
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের নাম পরিবর্তন করে প্রজ্ঞাপন
রোহিঙ্গাদের জন্য ৬৮ মিলিয়ন ইউরো দেবে ইইউ