March 16, 2025

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Saturday, March 15th, 2025, 12:05 am

যমুনা রেল সেতু উদ্ধোধন ১৮ মার্চ

 

নবনির্মিত যমুনা রেল সেতু দিয়ে প্রথমবারের মতো যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে রাজধানীর সঙ্গে উত্তরবঙ্গের নতুন রেল যোগাযোগের দ্বার উন্মোচিত হল। সেই সঙ্গে বন্ধ হয়ে গেল বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে ট্রেন চলাচল।

বুধবার বেলা ১১টার দিকে রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা ‘সিল্কসিটি এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি যমুনা রেল সেতু অতিক্রম করে ঢাকার দিকে রওনা হয়। প্রথম ট্রেনে যমুনা রেল সেতু পার হয়ে সাক্ষী হয়েছেন যাত্রীরা।

সেতুর নির্মাণের সঙ্গে জড়িতরাও এ সময় আনন্দ-উল্লাস করেন। দিনটি স্মরণীয় রাখতে সেতু দিয়ে মোবাইল দিয়ে ছবি ও ভিডিও তুলে রাখেন যাত্রীরা।

এ প্রসঙ্গে যমুনা রেল সেতুর প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মো. মাসউদুর রহমান বলেন, “সেতুর দুটি লাইনের মধ্যে একটি লাইনে বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চালু হল। পর্যায়ক্রমে শিডিউল অনুযায়ী ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ যমুনা রেল সেতুতে ট্রেন চলবে। ফলে বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে আর ট্রেন চলবে না।”

তিনি বলেন, “রেল সেতুতে দুটি লাইন থাকলেও বর্তমানে একটি লাইন দিয়েই উভয়দিকে ট্রেন চলাচল করবে। আগামী ১৮ মার্চ সেতুটি উদ্বোধনের পর থেকে দুই লাইন দিয়ে চলবে ট্রেন।”

২০২০ সালের ২৯ নভেম্বর নয় হাজার ৭৩৪ কোটি সাত লাখ টাকা ব্যয়ে যমুনা নদীর ওপর ডুয়েল গেজ ডাবল ট্র্যাকের রেল সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। পরে এর ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে ১২ হাজার ১৪৯ কোটি দুই লাখ টাকা ঋণ দিয়েছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)। প্রকল্পটি ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরে সময় বাড়িয়ে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর করা হয়। এর আগে ২০১৬ সালের ৬ ডিসেম্বর প্রকল্পটির অনুমোদন দেয় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।

সেতুটির ঠিকাদার হিসেবে কাজ করছে জাপানি কোম্পানি ওটিজি’ ও আইএইচআই জয়েন্ট ভেঞ্চার। প্রকল্পের শুরুতে দেশের দীর্ঘতম এই সেতুর নাম ছিল ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু’। অন্তবর্তী সরকার দায়িত্বে আসার পর গত বছরের ডিসেম্বরে সেতুর নাম পরিবর্তন করে ‘যমুনা রেল সেতু’ নামকরণ করা হয়।

অন্যদিকে যমুনা নদীর ওপর অবস্থিত বঙ্গবন্ধু যমুনা বহুমুখী সেতুটি ১৯৯৮ সালে চালু হয়। এতে ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রেল ও সড়ক যোগাযোগ শুরু হয়। তবে ২০০৮ সালে সেতুটিতে ফাটল দেখা দেওয়ায় কমিয়ে দেওয়া হয় ট্রেনের গতিসীমা। এজন্য দুর্ভোগে পড়তে হয় ট্রেন যাত্রীদের। এই দুর্ভোগ কমাতে সেতুটির ৩০০ মিটার উত্তরে দেশের দীর্ঘতম যমুনা রেল সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়।