April 1, 2025

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Sunday, March 23rd, 2025, 12:25 pm

সিগারেটের ধোঁয়া মুখে গেলে কি রোজা ভেঙে যাবে?

রোজা রেখে সিগারেট খেলে রোজা ভেঙে যায়

অনলাইন ডেস্ক:

রোজা অবস্থায় পানাহারের মতো ধুমপানও নিষিদ্ধ। সুবহে সাদিকের পর সূর্যাস্ত পর্যন্ত সামান্য পরিমাণ ধুমপান করলেও রোজা ভেঙ্গে যায়। কেউ যদি রমজানের রোজা রেখে স্বেচ্ছায় ধুমপান করে, তাহলে তার রোজা ভেঙে যায় এবং তার ওপর কাজা ও কাফফারা উভয়টি আদায় করা আবশ্যক হয়। (কাজা অর্থ একটি রোজার বদলে পরবর্তীতে আরেকটি রোজা রাখা আর কাফফারা আদায় করার তিনটি পদ্ধতি রয়েছে ১. একটি দাস মুক্ত করা, ২. ৬০ জন মিসকিনকে দুই বেলা ভালোভাবে তৃপ্তিসহকারে আহার করানো ৩. ধারাবাহিকভাবে ৬০টি রোজা রাখা।)

তবে অনিচ্ছায় অন্য কারো সিগারেটের ধোঁয়া যদি রোজাদারের নাক-মুখ দিয়ে ঢুকে যায়, তাহলে তার রোজা ভাঙে না। কিন্তু রোজাদার যদি ইচ্ছাকৃত অন্য কারো সিগারেটের ধোঁয়াও নাক-মুখ দিয়ে টেনে নেয়, তাহলে রোজা ভেঙে যায়।

একইভাবে মশার কয়েল, ধূপ, আগরবাতির ধোঁয়া অনিচ্ছাকৃত কারো নাকে-মুখে চলে গেলে রোজা ভাঙবে না, ইচ্ছাকৃত এগুলোর ধোঁয়া টেনে নিলে রোজা ভেঙে যাবে।

যে সব কারণে রোজা ভেঙে যায়

১. কেউ যদি ইচ্ছা করে রমজান মাসের দিনের বেলা যৌনমিলন করে অথবা পানাহার করে, তবে তার রোজা ভেঙে যাবে। কাজা করতে হবে, কাফফারাও দিতে হবে।

২. মেয়েদের মাসিক ও সন্তান প্রসবের পরবর্তী ঋতুস্রাবের সময় রোজা রাখা নিষিদ্ধ। রোজাদার অবস্থায় মাসিক শুরু হলে অথবা সন্তানের জন্ম হলে রোজা ভেঙে যাবে। পরবর্তী সময়ে এই রোজা কাজা করে নিতে হবে।

৩. ইচ্ছা করে বমি করলে রোজা ভেঙে যাবে, বমি মুখে চলে আসর পর ইচ্ছাকৃত তা গিলে ফেললে রোজা ভেঙে যাবে, শুধু কাজা করতে হবে।

৪. রমজান মাসের দিনের বেলা ইসলাম ত্যাগ করলে বা মুরতাদ হয়ে গেলে তার রোজা ভেঙে যাবে। ইসলামে আবার ফিরে আসলে ওই রোজাটি কাজা করে নিতে হবে।

৫. কুলি করার সময় অনিচ্ছায় গলার ভেতর পানি প্রবেশ করলে, রাত অবশিষ্ট আছে মনে করে সুবহে সাদিকের পর পানাহার করলে, ইফতারের সময় হয়েছে ভেবে সূর্যাস্তের আগে ইফতার করলে, রোজা স্মরণ থাকা অবস্থায় অজুতে কুলি বা নাকে পানি দেওয়ার সময় ভেতরে পানি চলে গেলে রোজা ভেঙে যাবে, কাজা করে নিতে হবে।

৬. রোজা থাকার কথা ভুলে গিয়ে কোনো কিছু খেয়ে ফেললে রোজা ভাঙবে না। তবে ভুলবশত খাওয়ার পর রোজা ভেঙে গেছে ভেবে ইচ্ছা করে আরো কিছু খেলে রোজা ভেঙে যাবে।

৬. জিহ্বা দিয়ে দাঁতের ফাঁক থেকে একটি ছোলার সমান বা এর চেয়ে বড় কোনো কিছু বের করে খেয়ে ফেললে রোজা ভেঙে যাবে, পরে কাজা করে নিতে হবে।

৭. প্রস্রাব-পায়খানার রাস্তা দিয়ে ওষুধ বা অন্য কিছু শরীরে প্রবেশ করালে, কান বা নাক দিয়ে ওষুধ প্রবেশ করালে রোজা ভেঙে যাবে, পরবর্তীতে কাজা করে নিতে হবে।