আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ফিলিস্তিনের গাজার ঐতিহাসিক আল-আহলি হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। ভয়াবহ এই হামলার পর হাসপাতালটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হামলার সময় শতাধিক রোগী, আহত ও চিকিৎসক সেখানে অবস্থান করছিলেন। হামলার পর দ্রুত রোগীদের সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে মেডিকেল টিম।
গাজার মিডিয়া অফিস এই হামলাকে ‘জঘন্য’ ও ‘ভয়ঙ্কর অপরাধ’ আখ্যা দিয়ে জানায়, এটি ৩৪তম হাসপাতাল যা ইসরায়েল ধ্বংস করেছে।
এর মধ্যে নুসাইরাত ও খান ইউনিসে যারা আছেন তাদের নতুন করে সরিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। সূত্র: আল জাজিরা।
গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানায়, ‘আল-আহলি হাসপাতাল গাজার প্রাচীন ও গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোর একটি, যেখানে গাজা ও উত্তর গাজার মিলিয়ে প্রায় এক মিলিয়ন মানুষ স্বাস্থ্যসেবা পেতেন।
সরকারি সূত্র মতে, ইসরায়েল এখন পর্যন্ত ৩৪টি হাসপাতাল ইচ্ছাকৃতভাবে ধ্বংস করেছে। হাসপাতাল ও চিকিৎসা কেন্দ্রে এই ধারাবাহিক হামলা আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলেও অভিযোগ করেছে গাজা প্রশাসন।
এদিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী নুসাইরাত শরণার্থী শিবির ও দক্ষিণের খান ইউনিসের বাসিন্দাদের নতুন করে এলাকা ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানায়, গাজা থেকে ছোড়া তিনটি রকেট তারা প্রতিহত করেছে। এর জেরেই এই স্থানান্তরের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে।
এদিকে গাজায় সংঘাত বন্ধে হামাসের একটি প্রতিনিধি দল কায়রো পৌঁছেছে। সেখানে মিসরীয় মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি বিষয়ক আলোচনা চলছে। এরই মধ্যে হামাস ইসরায়েলি-আমেরিকান বন্দি এডান আলেকজান্ডারের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, ইসরায়েলি অভিযানে এখন পর্যন্ত ৫০ হাজার ৯১২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন এক লাখ ১৫ হাজার ৯৮১ জন।
তবে গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস বলছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থাকা হাজারো মানুষ মারা গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফলে প্রকৃত মৃত্যুর সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০ ছাড়িয়ে গেছে।
অন্যদিকে গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ইসরায়েলে অন্তত ১,১৩৯ জন নিহত হন এবং ২০০ জনের বেশি লোককে বন্দি করে নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন
৯/১১ হামলায় নিহত ১১০০ জনের পরিচয় এখনো অজানা
জাকসুর দুই হলে ভোট গ্রহণ বন্ধ
জাকসু নির্বাচন : রবীন্দ্রনাথ হল থেকে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতা আটক