April 19, 2025

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Wednesday, April 16th, 2025, 12:18 pm

খুলনা ওয়াসাতে চলছে এখনও ফ্যাসিবাদী রাজনীতি গ্রাহক সেবা থেকে বঞ্ছিত নগরবাসী  

মাসুম বিল্লাহ ইমরান, খুলনা: ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের পরে সরকারের পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু পরিবর্তন হয়নি খুলনা ওয়াসা । এখনও চলছে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী ইশারা , প্রকল্প পরিচালক বিহীন, ভেংগে পড়েছে প্রশাসনিক ব্যাবস্থা, চলছে হ য ব র ল প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ নিয়ে চলছে তেলেসমাতি কারবার, আওয়ামীলীগের নিয়োগপ্রাপ্ত দূর্নিতীসহ নানান অভিযোগ উঠেছে তত্ত্বাবধায়ক  প্রকৌশলী খান  সেলিম আহমেদ বিরুদ্ধে।

বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত ওয়াসা ব্যাবস্থপনা পরিচালককে পাশ কাটিয়ে প্রকল্পটির কিছু  প্যাকেজে টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে চতুর কর্মকর্তা খান সেলিম আহমেদ। এমতাবস্থায় অত্যন্ত কৌশলী হয়ে, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, যিনি আলোচিত এবং সমালোচিত খুলনা শুয়ারেজ সিস্টেম ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট এর প্রকল্প পরিচালকের দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছেন। এটি নগরবাসীর প:য়  নিষ্কাশন  ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করতে পারবে কিনা তাহা নিয়ে নগরবিদদের সংশয় আছে।

বর্তমানে এই অগোছালো এবং অসমাপ্ত কে এস এস ডি পি প্রকল্পটি অন্য কোন প্রকৌশলীকে দায়িত্ব দিয়ে, অত্যন্ত কৌশলী হয়ে খুলনা পানি সরবরাহ প্রকল্প, ফেস টু এর  প্রকল্প পরিচালকের দায়িত্ব গ্রহণের জন্য  প্রকারান্তে না বললেও সবাইকে একরকম গোলকধাধায়য় রেখে যথারীতি বিভিন্ন মহলে জোর চেষ্টা চালিয়ে  যাচ্ছেন।

জনাব খান সেলিম আহমেদের চাকরির বয়স দুই বছরের  কিছু বেশি আছে বলে  জানা যায়।
খুলনা ওয়াসা তে বর্তমানে নেই কোন প্রধান  প্রকৌশলী।একজন তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এবং তিনজন নির্বাহী প্রকৌশলী কর্মরত আছেন। তাদের মধ্যে একজন এই প্রকল্পের  ফোকাল   পার্সোনের  দায়িত্ব পালন করছেন গত দুই বছর ধরে, একজন আছে কে এস এস ডি পি তে এবং অন্যজন ওয়াসার  জোনালের দায়িত্বে  আছেন। ইতিমধ্যে এই ফেজ টু প্রকল্পের ডিপিপি প্রস্তুত  করার দায়িত্বে আছেন তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী  এবং একজন এশিয়ান  ডেভলপমেন্ট ব্যাংকের কনসালটেন্ট  জনাব সুধীর কুমার  ঘোষ। তাহারা ডিপিপি  তে প্রকল্পের  বিভিন্ন প্যাকেজ সমূহ নির্ধারণ এবং সংযুক্ত করেন এবং যথারীতি পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করে থাকেন।

সূত্র মতে জানা যায় এই প্রকল্প টি  এখন প্লানিং কমিশনের  পি ই সি মিটিং সম্পন্ন হয়ে একনেকে উপস্থাপনের   অপেক্ষায় আছে । তবে তাহার পূর্বে অর্থ মন্ত্রণালয়  থেকে প্রকল্পের জনবলের  তালিকা অনুমোদন করিয়ে  নিতে হবে।

সূত্র মতে ইতিমধ্যে মন্ত্রণালয়ে প্রেরিত তালিকা ; যেখানে প্রকল্প  পরিচালক হওয়ার জন্য প্রধান প্রকৌশলী অথবা তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী অথবা নির্বাহী প্রকৌশলী  এর মধ্য থেকে যেকোনো একজনের নাম প্রস্তাব করে  মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে পিডি  নিয়োগের জন্য বিধান রাখা হয়েছে।

সুচতুর, তত্ত্বাবধায়ক  প্রকৌশলী খান  সেলিম আহমেদ খুলনা পানি সরবরাহ প্রকল্প ফেস টু এর প্রকল্প পরিচালক হওয়ার জন্য , উক্ত প্রকল্প পরিচালক নিয়োগের  বিধান টি  ডিপিপি পুনরায় রিভাইস করে  সেখান থেকে নির্বাহী প্রকৌশলীকে  বাদ দিয়ে শুধুমাত্র প্রধান প্রকৌশলী  অথবা তত্ত্বাবধায় প্রকৌশলী কে প্রকল্প  পরিচালক হওয়ার জন্য বিধান রেখেছেন।

খুলনা ওয়াসার বর্তমান দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার বলেন, পিডি নিয়োগের শর্তগুলো আমি এখনো দেখিনাই।এরকম ফাইল যদি আসে আমি দেখে ফরওয়ার্ড করবো। আমি এখন পর্যন্ত কোনো ফাইল পাইনি।

বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফ-উজ-জামান বলেন, ‘খুলনা নগরীর স্যুয়ারেজের কাজে নাগরিকরা কতটা উপকৃত হবে সেটি নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। তা ছাড়া রাস্তা, ড্রেন ও স্যুয়ারেজের কাজে কোনো সমন্বয় নেই। এতে জনদুর্ভোগ ক্রমান্বয়ে বাড়ছে।’ওয়াসা দুর্নীতির একটি আখড়া বানিয়ে নিয়েছিলেন।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব রোকসানা রহমান বলেন যখন অর্থ বিভাগে আসবে তখন বলা যাবে কি অবস্থাতে আছে, অর্থ বিভাগে আমারা এখনো পাইনি। অর্থ বিভাগে না পাওয়া পর্যন্ত আমরা বলতে পারবোনা। সচেতন নাগরিকদের সংগঠন খুলনার নাগরিক সমাজের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট বাবুল হাওলাদার বলেন,বিগত ১৬ বছর খুলনার সব কিছু চলছে আওয়ামী ইশারাতে ওয়াসা তার ব্যতিক্রম নয়।

যদিও তত্ত্বাবধায় প্রকৌশলী খুলনা সুয়ারেজ সিস্টেম ডেভোলাপমেন্ট  প্রোজেক্টের প্রকল্প  পরিচালকের দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন যাহা শেষ হতে এখনো কয়েক বছর লেগে যেতে পারে । তথ্য মতে তিনি  ফেস টু প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক হতে চাইছেন এই বিষয়টি অনেকের কাছে  এখন পরিষ্কার। তাহলে খুলনা পানি সরবরাহ প্রকল্প পেজ টু এর  প্রকল্প পরিচালক কিভাবে এবং কবে   নিয়োগ হবে এবং  এই  প্রকল্পটি সঠিকভাবে পরিচালিত হবে কিনা  সেটি  একটি জিজ্ঞাসা  থেকেই যায়। যাহা খুলনা পানি সরবরাহ প্রকল্প,ফেজ  টু বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অত্যন্ত  ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করছেন সচেতন নগরবাসী।