আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় নতুন করে আরও প্রায় পাঁচ লাখ মানুষকে বাস্তুচ্যুত করেছে দখলদার ইসরায়েল। বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) জাতিসংঘের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানায় কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের ১৮ মার্চ হামাসের সঙ্গে স্বাক্ষরিত হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেঙে গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় পাঁচ লাখ গাজাবাসী নতুন করে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কার্তজ স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, তার দেশ এখন ‘সুষ্পষ্ট নীতি’ নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। সেটা হলো হামাসকে চাপে রাখার ‘হাতিয়ার’ হিসেবে গাজায় সব ধরনের মানবিক সহায়তাসামগ্রী প্রবেশ পুরোপুরি বন্ধ রাখা।
ছয় সপ্তাহ ধরে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে কোনো মানবিক সহায়তাসামগ্রী ঢুকতে দিচ্ছে না ইসরায়েল। ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এটাই সবচেয়ে দীর্ঘ অবরোধ। সেই সঙ্গে গাজাবাসীর ওপর দমন-পীড়নও জোরদার করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।
অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে প্রতিদিনই নতুন নতুন হামলা চালানো হচ্ছে। গাজার চিকিৎসা সূত্রের বরাতে আল-জাজিরা জানিয়েছে, বুধবার (১৬ এপ্রিল) সকালে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৩৫ জন নিহত হয়েছেন।
এর আগে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। ওই হামলায় ১ হাজার ২০০ মানুষ নিহত হন। সেই সঙ্গে ২৫১ জনকে বন্দী করে গাজায় নিয়ে যায় হামাস। ওই দিন রাত থেকে গাজায় নির্বিচার হামলা শুরু করে ইসরায়েল।
হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য, ১৮ মাস ধরে চলা যুদ্ধে গাজা উপত্যকায় নারী ও শিশু মিলিয়ে ৫১ হাজার ২৫ জন নিহত হয়েছেন। আহতের সংখ্যা ১ লাখ ১৬ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন
সেনা ক্যাম্প ছেড়ে ভাড়া বাসায় নেপালের সাবেক প্রধানমন্ত্রী!
তালেবান সরকারের আমন্ত্রণে মামুনুল হকসহ ৭ আলেম আফগানিস্তানে
গণতন্ত্র শক্তিশালী করতে পিআর কার্যকরী নয়: ডা. জাহিদ