April 21, 2025

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Saturday, April 19th, 2025, 1:14 pm

হজের জন্য জমানো টাকা অন্য কাজে খরচ করলে গুনাহ হবে?

অনলাইন ডেস্ক

যাকাত, হজ ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ দুইটি বিধান। ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের অন্যতম দুইটি হলো যাকাত ও হজ। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন,

وَأَقِيمُوا الصَّلَاةَ وَآتُوا الزَّكَاةَ وَمَا تُقَدِّمُوا لِأَنفُسِكُم مِّنْ خَيْرٍ تَجِدُوهُ عِندَ اللَّهِ إِنَّ اللَّهَ بِمَا تَعْمَلُونَ بَصِيرٌ

আর তোমরা নামাজ কায়েম কর ও জাকাত দাও এবং যে নেক আমল তোমরা নিজদের জন্য আগে পাঠাবে, তা আল্লাহর কাছে পাবে। তোমরা যা করছ নিশ্চয় আল্লাহ তা দেখেন। (সূরা বাকারা, আয়াত : ১১০)

অপর আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন, বাইতুল্লাহ পর্যন্ত পৌঁছার শক্তি ও সামর্থ্য যে রাখে, সে যেন হজ করে এবং যে এ নির্দেশ অমান্য করবে সে কুফুরির আচরণ করবে, তার জেনে রাখা উচিত, আল্লাহ বিশ্ব প্রকৃতির ওপর অবস্থানকারীদের মুখাপেক্ষী নন। (সূরা আলে ইমরান, আয়াত : ৯৭)

হজ ও জাকাতের ক্ষেত্রে আর্থিক সামর্থ্য থাকা আবশ্যক। তবে হজ ও জাকাতের কিছু পার্থক্য রয়েছে। জাকাতের সঙ্গে নিসাবের সম্পর্ক। যে পরিমাণ অর্থ থাকলে জাকাত ফরজ হয়, তাকে নিসাব বলে।

অর্থাৎ, কারো কাছে সাড়ে ৭ তোলা স্বর্ণ বা সাড়ে ৫২ তোলা রুপা অথবা এই পরিমাণ সম্পদ বা টাকা থাকলে এবং এই সম্পদ তার মৌলিক প্রয়োজনের অতিরিক্ত হলে এবং এই সম্পদ পুরো এক বছর থাকলে তার ওপর যাকাত ওয়াজিব। বিপরীতে কারো কাছে নিজের দেশ বা ভূমি থেকে মক্কায় গিয়ে— আবার ফিরে আসার সামর্থ্য থাকলে, হজ ফরজ হয়। এই সম্পদের ওপর এক বছর অতিবাহিত হওয়া জরুরি নয়।

কোনো ব্যক্তি যদি হজে যাওয়ার নিয়তে টাকা জমায়। কিন্তু কোনো বিশেষ প্রয়োজনে তা অন্য কাজে খরচ হয়ে যায়, যেমন— ঝড়-বৃষ্টিতে ঘর-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হলে। অন্য টাকা নেই ফলে হজের জন্য জমানো টাকা দিয়েই এর মেরামত ও সংস্কার করে। তাহলে এর কারণে গুনাহ হবে কিনা?

এ বিষয়ে ইসলামী আইন ও ফেকাহবিদদের মতামত হলো— হজের জন্য জমানো টাকা হজের কাজে ব্যবহার করাই উত্তম। তবে বিশেষ প্রয়োজনে যদি হজের জন্য জমানো টাকা অন্য কাজে ব্যয় হয়ে যায়, তাহলে তা অন্যায় হবে না। এর জন্য গুনাহ হবে না। তবে এক সময় (প্রয়োজনাতিরিক্ত) হজের খরচ পরিমাণ টাকা জমা থাকায় এই ব্যক্তির ওপর হজ ফরজ হয়েছে। তাই ভবিষ্যতে ফরজ হয় আদায় করার চেষ্টা করতে হবে। (ফাতহুল কাদীর ২/৩২৪)