April 22, 2025

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Tuesday, April 22nd, 2025, 12:00 pm

কুমিল্লায় ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে ছাত্রদল-এনসিপির যৌথ মিছিল

কুমিল্লা নগরীর বিভিন্ন সড়কে যৌথভাবে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্রদল ও এনসিপি। ছবি :

অনলাইন ডেস্ক

কুমিল্লা নগরীর বিভিন্ন সড়কে যৌথভাবে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্রদল ও এনসিপি। ছবি :
কুমিল্লা নগরীতে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল ঠেকাতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও কুমিল্লা মহানগর ছাত্রদল। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে এই দুই দলের নেতাকর্মীরা নগরীর বিভিন্ন সড়কে যৌথভাবে বিক্ষোভ মিছিল করে।

সোমবার (২১ এপ্রিল) রাতে কুমিল্লা নগরীর কান্দিরপাড়ে এই বিক্ষোভ মিছিল করা হয়।

বিক্ষোভ মিছিলে এনসিপি ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ‘এই কুমিল্লায় হবে না, ছাত্রলীগের ঠিকানা, আওয়ামী লীগের গুন্ডারা, হুঁশিয়ার সাবধানসহ নানা স্লোগান তুলে। পরে মিছিল শেষে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি ফখরুল ইসলাম মিঠু ও এনসিপি নেতা আবু রায়হান।

বক্তব্যে ফখরুল ইসলাম মিঠু বলেন, ছাত্রলীগ একটা নিষিদ্ধ ছাত্র সংগঠন। তারা কুমিল্লার পরিবেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য রাত তিনটায় মুখোশ পরে এসে মিছিল করে। আমরা খবর নিয়েছি, মিছিল করে যাওয়ার সময় তারা সাধারণ পথচারীদের থেকে টাকা-মোবাইল ছিনতাই করে বাসায় ফিরেছে। কুমিল্লাকে অস্থিতিশীল করার জন্য কেউ যদি এমন উদ্যোগ নেয় তাহলে সাধারণ মানুষ তাদের গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করবে।

এনসিপি নেতা আবু রায়হান বলেন, গণতন্ত্র হত্যাকারী একটি দলের পুনরুত্থান এই দেশের জনগণ মেনে নেবে না। তারা ২৪-এ গণহত্যা চালিয়েও এখন কুমিল্লার বিভিন্ন স্থানে চোরাগোপ্তা মিছিল করছে। তারা এই সাহস কোথায় পেল। আমরা সাবধান করে তাদেরকে বলতে চাই আগামীতে এই ধরনের কোনো চোরাগোপ্তা মিছিল করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠিন পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এ সময় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে কুমিল্লা মহানগর ছাত্রদল ও এনসিপির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, গত রোববার (২০ এপ্রিল) গভীর রাতে কুমিল্লা নগরীর শাসনগাছা এলাকায় ঝটিকা মিছিল করে ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের কয়েকজনের একটি দল। তারা মুখে মাস্ক পরে দ্রুত মিছিল করে পালিয়ে যায়। পরে তা ফেসবুকে ছড়িয়ে দিলে তোলপাড় শুরু হয়। এ ঘটনায় পুলিশ সোমবার অভিযান চালিয়ে প্রথমে ৮ জন ও পরে আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করে। তাদের মধ্যে একজন সাবেক কাউন্সিলর রয়েছেন।

সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক রেজাউল কাইয়ুম জানান, তারা গভীর রাতে ভিডিও করতে মিছিল করে দ্রুত পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে সাধারণ মানুষ তাদের খুঁজতে বের হয়ে তাদের কোথাও পায়নি। এরপর ওই ভিডিও তারা ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়।

তিনি বলেন, এমন অপতৎপরতায় যারা জড়িত ও যারা ভিডিও শেয়ার করছে তাদেরও আইনের আওতায় আনা উচিত।